ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২৯ ২০:০৪:২০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২৯ ২০:০৪:২০




  • জাতীয়
  • আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী.

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী


রাজশাহী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ অনেক কিছু পায়। আমাদের দেশের একজনও গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করছে।


রোববার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।


বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা করোনাকালীন সময়ে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করা ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবি কার্ড করে দিয়েছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি।


বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার গড়ে তোলা সংগঠন। এই সংগঠন কখনো পিছুপা হয় না। আমরা বীরদর্পে এগিয়ে যাই। আমরা পালাব না। প্রয়োজনে ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুল সাহেবের বাড়িতে গিয়ে তার ঘাড়ের ওপর বসব।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা দেয়, তা রক্ষা করে। বিএনপি জঙ্গিবাদ ও লুটপাটসহ নানা অপকর্মে জড়িত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে।


বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা করোনাকালীন সময়ে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করা ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবি কার্ড করে দিয়েছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি।


শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে তখনো আমি বিদেশে গিয়েছিলাম, আমার ছেলের বউ অসুস্থ ছিল। তার বাচ্চা হয়েছিল, অপারেশন হয়েছিল, তাকে দেখতে। আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছি, আমি যাব। এই কেস আমি মোকাবিলা করবো। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধু বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।


তিনি বলেন, আজকে যারা বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগ পালায় না। পালায় আপনাদের নেতারাই।


বিএনপি নেতৃত্বের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা কে? বিএনপি তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে। যে নাকি ২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কোনো দিন রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, পালিয়ে গিয়েছিল, সে কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নাই?

রাজশাহীর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, আমরা গত ১৪ বছরে ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন অবকাঠামো তৈরি করেছি। একটু আগেই আমরা প্রায় ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। এর মধ্যে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৬টির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন। পরে তিনি প্রতিটি প্রকল্পের নাম ঘোষণা করেন।


এর আগে আজ সকাল ১১টার মধ্যেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রাজশাহী পরিণত হয়েছে মিছিলের নগরীতে।


শহরের ৩টি প্রবেশপথ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই ছোট-বড় মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন।


আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসে-ট্রাকে এবং পায়ে হেঁটে জনসভাস্থলে এসেছেন। এ ছাড়া, ৮টি ট্রেন ভাড়া করে জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের রাজশাহী আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।



রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আজ দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা মাঠে (বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে) আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। এরপর রাজশাহীর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের অন্তত ৩২ নেতা বক্তব্য দেন। তারা সবাই বাংলাদেশ ও রাজশাহী শহরকে বদলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর চারঘাটে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।


এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীজুড়ে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয় চেকপোস্ট।


মাদরাসা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের উত্তর পাশে প্রধান প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে এমনভাবে গেট তৈরি করা হয়েছে, যেন সুশৃঙ্খলভাবে লোকজন ভেতরে ঢুকতে পারেন। মাঠের মধ্যে একাধিক বাঁশের বেড়া দিয়ে মাঠকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া মাঠে নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশের দেয়াল অপসারণ করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ পাশের রাস্তাটি এখন মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত। ওই রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশেও বিশেষ প্রবেশপথ নির্মাণ করা হয়।


পুরো মঞ্চটিই সাদা কাপড়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। মঞ্চের পাশের রাজশাহী কারাগারের প্রাচীরও সাদা কাপড়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। মঞ্চের বাইরে ও ভেতরে মাইক লাগানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে আসা নেতাকর্মীদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট বসানো হয়েছে। মঞ্চ ও এর আশপাশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহর জুড়েই বাসানো হয় নিরাপত্তা চেকপোস্ট।









মন্তব্য