ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-২৭ ০০:৩৭:৩০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-২৭ ০০:৩৭:৩০




  • জাতীয়
  • হাছান মাহমুদকে এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার আবু সায়েম.

হাছান মাহমুদকে এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার আবু সায়েম

হাছান মাহমুদকে এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার আবু সায়েম


ডেইলি বাংলা টাইমস: বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ, পরিচালক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিনেমায় অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর এরকম বক্তব্য আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে ফেসবুকসহ সেশ্যাল মিডিয়ায়।

ব্যারিস্টার আবু সায়েম তার ফেসবুক পেইজে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছেন। ডেইলি বাংলা টাইমস পত্রিকার পাঠকদের জন্য ব্যারিস্টার সায়েমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সিনেমা’ ও বেগম খালেদা জিয়া: আবু সায়েম

তথ্য হাছান বলেছে, “বেগম খালেদা জিয়া সিনেমার নায়িকা হতে চেয়েছিলেন।” বলেই আবার ধাতুহীন সাংবাদিকদের সাথে সে আলগা হাসি হেসেছে।  খালেদা জিয়ার অভিনেত্রী হওয়ার বাসনা যদি সাধারণ তথ্য হিসেবে আলোচনায় আসত, তাহলে আমি দোষের কিছু খুঁজতাম না। কিন্তু হাসিনাস্টাইলে হাছান যেভাবে কথাটি প্রেসের সামনে পেড়েছে, তাতে তার বেয়াদবি ও শয়তানি ধরা পড়ে। বদমায়েশটা জানেও না, কনটেক্সটে ‘সিনেমা’ শব্দটির ব্যবহার ভুল। ভাষার সঠিক প্রয়োগ করলে সেটি হত ‘চলচ্চিত্র’ অথবা ‘ছায়াছবি’। ভাষাজ্ঞানহীন মূর্খ হাছান নাকি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রী, ছি!!! আমি চ্যালেন্জ দিয়ে বলতে পারি, দেশ গণতন্ত্র থাকলে এ পোকাটা প্রেসক্লাবের সামনে চা বিক্রি করত।

ছ‌বিঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া, জনগণের চাওয়া পাওয়া নিয়ে পুরুষ শাসিত সমাজে যিনি লড়ে গেছেন আপোষহীন ভাবে আজ অবধি।

যা-ই হোক, ম্যাডাম জিয়া যদি সত্যিই চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন কখনো দেখে থাকেন, আমার দু:খ তবে বাড়লো বইকি। কেন তিনি অভিনেত্রী হলেন না? তার সে যোগ্যতা ছিলো। অনেক পাবলিক ফিগারের নাম আমরা জানি যারা রাজনীতি থেকে গ্ল্যামার জগতে কিংবা অভিনয় থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। তাদের সফলতা ঈর্ষনীয় ও অনুকরণীয়। Broadway-খ্যাত গুনী অভিনেত্রী হেলেন ডগলাস যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয় এবং প্রথম ডেমোক্র্যাট নারী যিনি কংগ্রেস দাপিয়েছিলেন ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। ১৯৩২ সালে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হওয়া হেলেন হলিউডের প্রশংসিত মুভি She-তে অভিনয় করেন ১৯৩৫ সালে। যুক্তরাজ্যের গ্লেন্ডা য্যাকসন (CBE) লেবার পার্টি থেকে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৮ বছর। তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে দুবার Academy Award জিতেন Women in Love ও A Touch of Class-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য। দুনিয়াজোড়া এমন আরও অসংখ্য নারী আছেন যারা অভিনয় ও রাজনীতি দুই জগতেই সমান পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন। আশ্চর্য হইনি, বলদ হাছানের এসব তথ্য জানা নেই।

আমি লেখার যবনিকা টানব এই বলে যে, মহীয়সী বেগম খালেদা জিয়া ছায়াছবিতে অভিনয় করলে নায়িকা হিসেবেই করতেন—অন্তত এ বাস্তবতাটা ছিঁচকে হাছান বুঝে। তবে আমরাও জানি, গল্পে খালেদা জিয়ার একজন চাকরানি থাকলে, সে চরিত্রে সমসাময়িক কোন নারী রাজনীতিককে কাস্ট করতেন পরিচালক॥

পাদটীকা- অথর্ব হাছান গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও কথা বলেছে! এ নিয়ে আপাতত মন্তব্য করব না। কারণ Baksalocracy-র অংশীদারদের সব কথা কানে না নিলেও হয়। জনগণের চোখে এদের লম্বা বুলি মানসিক বিকৃতির বহি:প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়॥

তথ্যসূত্র: ব্যারিস্টার সায়েমের’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।









মন্তব্য