ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৪-১০-০৯ ২১:২৬:৪৬
বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইতুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু। ছবি: সংগৃহীত
ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এছাড়া খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে আদেশের অনুলিপি পাঠিয়েছেন আদালত।
দুই বাসের প্রতিযোগিতার বলি আইরিন, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন আরেক বোন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তিনটি পৃথক আবেদন করেন। এতে বলা হয়, শিবলী রুবাইয়াত, আশরাফুল আলম খোকন, রেজওয়ানা, আখতারুজ্জামান ও শারমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। তাই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন।
শিবলীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো.মাসুদুর রহমান, আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন দুদকের সহপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু ও তার স্ত্রীর দেশ থেকে নিষেধাজারীর আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন।
শিবলী ও আক্তারুজ্জামানের নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব হিসেবে কর্মরত থেকে ঘুষ নিয়ে দলের পদ বাণিজ্য, ঋণ ও মুদ্রা চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনা, ম্যাক্স গ্রুপ, নগদ ও অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ, অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা উপার্জনপূর্বক নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা যে কোনো সময় বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। এ কারণে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।