ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০১৯-০৩-১০ ১৬:০০:০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১২ মার্চ, মঙ্গলবার থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সমর্থিত প্যানেলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ সময় সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১২ মার্চ, মঙ্গলবার থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সমর্থিত প্যানেলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ সময় সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ ১১ মার্চ, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল বামজোট, ছাত্র ফেডারেশন ও কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে ভোট প্রত্যাখ্যানের পাশপাশি ধর্মঘটের ঘোষনা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বামজোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা এই প্রহসন ও জালিয়াতির নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করতে হবে।’
পরে এসব দাবি নিয়ে ভিসি ভবনে অবস্থান নিতে যান প্রার্থীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও পৃথক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল।
জানা গেছে, আজ ১১ মার্চ, সোমবার দুপুর ২টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১ টা ১০ মিনিট থেকে ওই হলে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, ভোগ্রহণে বাধা এবং কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ চার প্যানেল।
প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫ পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ২২৯ জন; ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪টি পদে বিপরীতে প্রার্থী ৫০৯ জন। ১২টি প্যানেলের বাইরে ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ২ জন স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১ জন; তাদের সঙ্গে এই নির্বাচনে ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৩ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। তাদের মধ্যে ৫টি ছাত্রী হলের ভোট ১৬ হাজার ৩১২।