ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২৭ ১২:০২:০৫




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২৭ ১২:০২:০৫




  • ঢাকা
  • চিকিৎসার টাকা নেই, পেটে ছুরি চালিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা.

চিকিৎসার টাকা নেই, পেটে ছুরি চালিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

চিকিৎসার টাকা নেই, পেটে ছুরি চালিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা


রাজধানীর হাতিরঝিলের মগবাজার-মধুবাগের একটি বাসায় অভাবের সংসারে চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে না পেরে জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। নিহত ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।


জয়নাল আবেদীন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের তিন নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকেন।


মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।


জয়নালের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম বলেন, আমার স্বামী রিকশা চালাতো। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসাবাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো কাজই করতে পারত না। আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলতো আমাগো। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাগো নাই। তাই কখনো আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার কখনো ওষুধ কিনতে পারতাম না।


তিনি আরও বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হইয়া পড়ছিল। কিন্তু আমাগো কাছে টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারি নাই। এই দুঃখে আমার স্বামী আজ সন্ধ্যার পর নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বাইছা নেয়। পরে আমরা এই অবস্থা দেইখা তারে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতের দিকে মারা যায় আমার স্বামী।’



জয়নালকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার ভাতিজা মো. মোতালেব জানান, আমার চাচা রিকশাচালক ছিলেন। তিন বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। এমনিতেই কাজকর্মে যেতে পারে না তারপর অভাব অনটন,ওষুধ কিনতে না পেরে সে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় তার পেটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো.বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।









মন্তব্য