ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১১-১৯ ২২:১৩:১০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১১-১৯ ২২:১৩:১০




  • খেলা
  • ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্ব শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার.

ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্ব শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

kzqghvva

ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্ব শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

kzqghvva


আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শকের সাথে সাথে পুরো ভারতবাসীকে কাঁদিয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো বিশ্ব শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া । বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে রবিবার টস জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাট করতে পাঠায় অজিরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্ক এর বোলিং তোপে ৫০ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগৃহ করে রহিত শর্মরা। বিশ্ব শিরোপার মুকুট নিজেদের মাথায় তুলতে ২৪১ রানের জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে হেডের সেঞ্চুরিতে ৪২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের উড়তে থাকা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে এনে ৬ উইকেটের তিক্ত স্বাদ দিয়ে ক্রিকেটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পূণরুদ্ধার করলো প্যাট কামিন্সরা। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ট্র্যাভিস হেড।

আহমেদাবাদে ফাইনালে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথম ১০ ওভারে খুব একটা সুবিধাও করতে পারেননি মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজেলউডরা। শুভমান গিল দলীয় ৩০ রানে ফিরে গেলেও রানের চাকা ঠিকই সচল রাখেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। 

 এরপরেই যেন লাগাম টেনে ধরেছে অজি বোলাররা। ব্রেকথ্রুর আশায় অষ্টম ওভারে প্রথমবারের স্পিন আক্রমণে আনেন প্যাট কামিন্স। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও পাত্তা দিচ্ছিলেন না রোহিত। রোহিত থামলেন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। রোহিতের পর উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক শুরুর চেষ্টা করেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনিও। কামিন্সের বল ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে।

রোহিত-আইয়ার ফিরে যাওয়ার পর ১৫ ওভারের বেশি বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশ্য এরইমাঝে টানা ৫ম ফিফটি তুলে নেন কোহলি। তবে ফিফটির পরেই ফিরতে হয়েছে কোহলিকে। কামিন্সের লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে ইনসাইড এজে ফিরে যান তিনি। এরপর জাদেজা এসে ভারতকে বড় কিছু এনে দিতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৯ রান।

সিঙ্গেলস আর ডাবলই হয়ে যায় রাহুল-সূর্যকুমার যাদবের ভরসা। ধীরগতিতে ব্যাট চালিয়ে রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ রান তুলেন।  পুরো বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন ভারতের টপ অর্ডার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে খুব একটা পরীক্ষা দিতেই হয়নি ভারতের মিডল অর্ডারকে। কিন্তু ফাইনালে এসেই যেন হোঁচট খেতে হলো টিম ইন্ডিয়াকে। অজি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বাগতিকদের তারা আটকে দিয়েছে ২৪০ রানেই। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৩টি, প্যাট কামিন্স আর জস হ্যাজেলউড নেন ২টি করে উইকেট।

রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জিততে তাই ২৪১ রানের জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেয়ে বসে অজিরা। দলীয় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থায় দলের হাল ধরেন ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন। চতুর্থ উইকেটের এই জুটি  অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার পথটা সহজ করে দেয়। দলীয় ২৩৯ রানের মাথায়  ট্র্যাভিস হেড ১২০ বলে ১৩৭ রানে ক্যাচ আউট হন।  মার্নাস লাবুশেন ১০০ বলে ৫৮ এবং মেক্সওয়েল ১ বলে ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।









মন্তব্য