ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২১ ০০:০০:০০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২১ ০০:০০:০০




  • বিবিধ
  • বিএনপি কি ‘সাফা’ হয়ে গেলো?.

বিএনপি কি ‘সাফা’ হয়ে গেলো?

বিএনপি কি ‘সাফা’ হয়ে গেলো?


ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

আমি ঢাকায় আছি ৫৪ বছর। যাত্রাবাড়ি এলাকা দিয়ে অসংখ্যবার যাতায়ত করেছি। কমলাপুর বৌদ্ধমন্দির এলাকায় কয়েক বছর থেকেছি। ট্রেনে ভ্রমণ করেছি দূরদুরান্ত কিন্তু আজকে সত্যি বলি আমি কোন দিন গোলাপবাগ মাঠের নাম শুনিনি, যাইও নি। এছাড়া ধূপখোলা মাঠসহ পুরান ঢাকায় যতগুলো মাঠ আছে তার সবগুলো আমার চেনা। নানা কারণেই চেনা। কখনো এর আশে পাশে টিউশনি করেছি। কখনো নিতান্ত খোলা হাওয়ায় বসে থাকতে গিয়েছি। কিন্তু গোলাপবাগ মাঠ কোথায় তা আজ পর্যন্ত আমার জানা নেই। 

বিএনপি লাখ লাখ লোক নিয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করেছে। সেখানে ভ্যানু নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। পুলিশ ও সরকারের পান্ডারা প্রায় সকল জায়গায় বাধা দিয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও মাইকিংও করেছে যে, যারা বিএনপির জনসভায় যাবে তাদের আর এলাকায় ফিরতে দেয়া হবে না। আমার বাড়ি, আমার ঘর, কার সভায় আমি যাবো, না যাবো সেটা আমার ইচ্ছা। কিন্তু গণসবায় গেলে আমাকে আর ফিরতে দেয়া হবে না। এই ধরণের হুমকি ক্রিমিনাল অফেন্স। সাধারণ ভাবে যারা এই ধরণের হুমকি দিয়েছে পুলিশের উচিত ছিলো আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। জনসভায় আসার অপরাধে আওয়ামী লীগের পান্ডারা অনেকের দোকানপাটে তালা দিয়ে ছিলো। তার কোন কোন তালা এখনো খোলা হয়নি এবং আমার দোকানে অন্য কেউ তালা দিয়ে দিয়েছে সে ধরণের দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। জনসভায় আগত ব্যক্তিদের ওপর হামলা চলেছে। পুলিশ অকারণে বহু সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছে। বলেছে বিএনপির লোকরা বোমা মেরেছে বা ককটেল ফাঁটিয়েছে। সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে এরকম কোন আলামত দেখতে পায়নি। এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় নি যে, বোমা বা ককটেলের শব্দ শুনেছে। পুলিশ বলেছে, বিএনপির লোকেরা বাস ভাঙচুর করেছে। ফলে নামে বেনামে ডজন ডজন লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দু চারজন লোকের নাম দিয়ে বলেছে অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জন। এই অজ্ঞাত লোকদের নামে যে কাউকে আটক করার এখতিয়ার সৃষ্টি করেছে। 

পুলিশ এখন আরো একটি ভাষা ব্যবহার করে। ধরা যাক প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি খুন হলেন কিংবা কোথাও মারামারিতে অনেক লোক আহত হলেন। পুলিশ পায়ের উপর পা তুলে বলে যা যে,এ ব্যপারে আমরা তো এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা পুলিশের কোন খাতায় লেখা আছে তা আমাদের স্বাভাবিক বু্িদ্ধতে কুলায় না। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রেও একই কথা বলে পুলিশ। আর অভিযোগ করতে গেলে এমন সব প্রশ্ন করে যে প্রশ্নের জাবাব দেয়া ভিকটিমের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশি হয়রানির ভয়ে ভিকটিমরা মামলা দিতে আসে না। কিন্তু অপরাদ গুরুত্বর । অপরাধিরা ভিকটিম ও তার পরিবারকে এই বলে শাসায় যে, যদি মামলা দেয়া হয় তাহলে তার পরিণতি হবে করুণ। এই গতকালই একটি খবর ছাপা হয়েছে যে, অভিযুক্ত পিতাকে না পেয়ে পুত্রকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশ কোন আইনে এই কুকর্ম করেছে তার কোন ব্যাখা নেই। একথা সত্য যে সরকার পুলিশের অপরাধের জন্য মাঝে মধ্যে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেসব ব্যবস্থা প্রধানত দুইটি।  দোষি পুলিশকে অ্যাটাচ করা হয় অথবা অন্য কোথাও বদলি করা হয়। এটা শাস্তিও নয়, সমস্যা সমাধানও নয়। যে পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে তার বিরুদ্ধেও তো কঠর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা। সে পথে না গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময় বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছিলো। আক্রমনের মুখে পরলে তারা কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে। অপরাধপ্রবণ পুলিশদের আশকারা দেয়ার জন্য এই বক্তব্যই যথেষ্ঠ। 

বিএনপি ঢাকায় গণসমাবেশ ডেকে ছিলো ১০ ডিসেম্বর। সাধারণত দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই চারশ লোক সব সময় ঘোরা ফেরা করেন। ৭ ডিসেম্বর সেরকমই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী  কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলো। সরকারের কাছে নাকি আজব গোয়েন্দা তথ্য ছিলো যে, এই অবস্থান কর্মসূচী বেড়ে বেড়ে ১০ তারিখে ২০-২৫ লাখ লোক নয়াপল্টনে সমাবেত হবে। আর এই লোকগুলো পরে সেখানে অবস্থান নেবে। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূণ্য স্থাপনা ঘেরাও করবে। আর তার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটে যাবে। ইতিমধ্যে সরকারের গোয়েন্দা সূত্রের কোন খবরই সত্য হয়নি। রেষ্টুরেন্টে যদি ১০-১৫ জন লোক একসঙ্গে খেতে যায় তাহলেও সরকার সেখানে নাশকতার গন্ধ পায়। এবং সরকার বিরোধী চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করে। তারপর তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ফলে সরকার সমাজের ভেতর-কাঠামো ইতিমধ্যে অনেকটা ভেঙ্গে দিয়েছে। ধরা যাক আমি আমার বাসভবনে আমার কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের জীবনের ২০-২৫ জন বন্ধু বান্ধবকে ডেকে দাওয়াত খাওয়াতে পারি, বসে গল্প গুজুব করতে পারি। কিন্তু ভয় হয় সেখানেও যদি পুলিশ নাশকতার গন্ধ পায়? পুলিশের একটি সহজ কৌশল হলো পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে পকেট তল্লাশি কর। তারপর ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে থানায় নিয়ে চালান দেয়া। এই রকম কান্ড অসংখ্য ঘটেছে। কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররা পুলিশ পকেটে হাত দিতে চাইলে দিতে দেয়না। পকেট চেপে ধরে থাকে। তারপর পকেটে যা কিছু আছে নিজেই মেলে ধরে থাকে। এরকম ঘটনার একজন প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমি নিজেই। ৩২ নম্বরের মাথায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ বিশ^বিদ্যালয়ের বাসের জন্য বাসের জন্য অপক্ষেরত এক ছাত্রের পকেটে হাত দেয়ার চেষ্টা করতেই ছেলেটি লাগিয়ে উঠলো। পকেটে হাত দিচ্ছেন কেন। পুলিশ বললো আপনার পকেটে ইয়াবা আছে। ছাত্রটি পকেট উল্টে দেখালো কিছুই নেই। অন্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করলো আপনিই ইয়াবা ঢুকানোর চেষ্টা করছিলেন। আশপাশ থেকে আমার মতো বয়স্ক লোকেরা এগিয়ে এলো প্রতিবাদ করতে থাকলো। পুলিশটি বিপত্তি দেখে প্রতিবন্ধকে ঘেরা ৩২ নম্বর সড়কে ভেরতে ঢুকে গেলো। 

গত ৮ ডিসেম্বর পুলিশ বিএনপি অফিসে অতর্কিতে হামলা চালায় । তারা যাকে সামনে পায় তাকে মারধর করতে থাকে শেষ পর্যন্ত টিয়ারশেল ও গুলি চালায় এবং বিএনপি অফিসের ভেতরে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর এবং তছনছ করে ফেলে। পুলিশের বক্তব্য হলো বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রের খরব আছে। পুলিশ বিএনপি অফিসের তালা ভেঙ্গে ভেতরের সমস্ত তালাবদ্ধ রুম ভেঙ্গেচুড়ে তছনছ করে দেয়। এমনকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও অফিসের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। তারপর এক কর্মকর্তা গোছের  একজন পুলিশ সাংবাদিকদের বলেন যে, বিএনপির অফিসে ভেতরে ‘অসংখ্য ককটেল’ রয়েছে। তাদের একজনের যুক্তি এইসব ককটেল নিষ্ক্রিয় করনের জন্য বোমা নিস্ত্রিয়করণ দল আসুক। তারপর সিদ্বান্ত নেয়া হবে। বিএনপির অফিসে সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তারা বেধরক পেটাতে থাকে। মুহুর মুহু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তারপর গুলি চালায়। সে গুলিতে একজন নিহত হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি অফিসের সামনে বসে পরেন। তিনি দাবি করেন, আমার অফিসে আমাকে যেতে দিতে হবে। সে কথায় পুলিশ কর্ণপাত করেনি।  

তারপর এক সময় পুলিশ জানায় যে, বিএনপির অফিসের ভেতর থেকে ১৬০ বস্তা চাল , বেশ কয়েক বস্তা ডাল, মিস্টি কুমড়া উদ্ধার করে। সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাস করে অসংখ্য ককটেক গুলোর কথা যে বলেছিলেন সেগুলো কোথায় । পুলিশ তার কোন সন্তসজনক উত্তর দিতে পারেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন যে, ঐ অফিসে ১৬০ বস্তা চাল রাখার কোন জায়গাই নেই। এসব ভুতুড়ে চাল কোথায় গেলো । একটি ককটেলও কেন পাওয়া গেলো না। সে প্রশ্নের কোন সমাধান হয়নি। বিএনপি অফিস এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে।  পুলিশ বলছে অফিস স্ক্যান করা শেষ হয়নি। সেখানে শত শত পুলিশ মোতায়েন করে ফুকিরাপুল থেকে নাইটএ্যাঙ্গে পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করেছে পুলিশ। ১০ তারিখে এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত সেই রাস্তা বন্ধ ছিলো। 

বিএনপি যখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলো তখন পুলিশ স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী একযোগে বললেন যে, যানচলাচল বিগ্নিত করে কোন সভাসমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তার আগে ৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন হলো তখন পুলিশ ঘোষনা দিয়ে এর চারপাশে যত রাস্তা আছে সব রাস্তা বন্ধ করে দিলো তাতে মানুষের চলাচল কি বিঘ্নিত হয়নি। এদেশে এসব প্রশ্নের কোন জবাব নেই। সরকার ঘোঁ ধরে বসে থাকলো যে কোন অবস্থাতে বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। কিন্তু এর আগেও বিএনপি নয়াপল্টনে বহু বড় বড় সমাবেশ করেছে। কিন্তু তখন এস প্রশ্ন উঠেনি। এবার সরকার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যবহার করতে বললো। তার আগেই সরকারের তরফ থেকে একাধিক মন্ত্রী বললেন যে, বিএনপি যদি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় । তবে তাদের পরিণতি হেফাজতের মতো করুণ হবে। কিংবা বিএনপিকে ‘সাফা’ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বিএনপি কিছুটা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিলো তারা বললেন যে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে আরামবাগে সমাবেশ করতে দেয়া হোক। এর মধ্যে ৮ তারিখ দিবাগত রাতে ‘উদ্ধতন মহলের’ নির্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ তারিখে সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে, সায়দাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি সমাবেশ করতে পারবে। দুপুর আড়াইটার দিকে সরকারের তরফ থেকে একথা জানানোর একঘন্টার মধ্যে চর্তুরদিক থেকে বিএনপি নেতাকর্মীও সাধারণ মানুষ গোলাপবাগ মাঠে চলে আসে। এবং সাড়ে তিনটা চারটার মধ্যে মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তারপর দলে দলে জনতা মাঠের দিকে আসতেই থাকে। 

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছিলো যে, তাদের নেতাকর্মীরা রাস্তায় রাস্তায় পাহাড়া বসাবে। সরকারের দালাল বাস মালিক সমিতি ঘোষনা করেছিলো যে, যাত্র থাকুন বা না থাকুক তাদের সব ধরণের বাস রাস্তায় চলাচল করবে। কিন্তু দেখা গেলো যে, দুই একটা ভাঙ্গাচুড়া বাস ছাড়া কোন বাসই রাস্তায় নামে নি। আওয়ামী পান্ডা মাহাসড়ক গুলো দিয়ে  বে  ফেলে পাহাড়া দিয়েছে। যাতে সে পথে কেউ সমাবেশে আসতে না পারে। দূরপাল্লার বাস যে দুই একটা এসে ছিলো তার প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশী করা হয়েছিলো শত রকম প্রশ্ন করে হয়েছে। কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী পান্ডাদের পাহাড়ার কারণে সরকাররের দালাল বাস মালিক সমিতি তাদের বাস রাস্তায় নামাননি। কোন ল  ও ঘাট থেকে যায় নি আসে নি। এমনটি বুড়িগঙ্গায় নৌকা পাড়া পাড়ও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার । ফলে সারাদেশ এক কারফিউ এর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।  কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি বিভিন্ন পথে ষন্ডা পান্ডা ও পুলিমের চোখ রাঙ্গাণি এড়িয়ে লাখ লাখ লোক গোলাববাগ মাঠের দিকে ছুটে এসেছিলেন। জনসবা মাঠ পেড়িয়ে মুগদা কমলাপুড় খিলগাও হয়ে সায়দাবাদ পর্যন্ত বৃস্তিত হয়ে পড়েছিলো। সবার দাবি ছিলো একটাই নিশিরাতের ‘ভোটে নির্বাচিত’ এই সরকারকে অভিলম্বের পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে একটি নির্বাচন দিতে হবে। সেই আওয়াজ শুধু ঐ এলাকায় সীমাবন্ধ ছিলো না । জনে জনে তা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। 

এতে সরকারের কী লীভ হয়েছে সরকারই বলতে পারবে। পুলিশের গুলিতে একজন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মীর প্রাণ গেছে। আহত হয়েছে শত শত মানুষ। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত লোককে। এখনও অবরুদ্ধ আছে বিএনপি অফিস। আর আওয়ামী লীগ অফিসের সামেন নেতাকর্মীদের খাওয়ার জন্য ডেগ বসিয়ে রান্না করা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতা আওয়ামী লীগের জন্য কতটা সুবিধা নিয়ে আসবে বলা মুশকিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ গুলো এদেশে গণতন্ত্র মানবাদিকার সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা অবাধে সমাবেশ করার স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। মনে হচ্ছে সরকার তাতে কোন কর্ণপাতই করছে না। এতে রুষ্ঠ হয়েছে। আপাতত ব্রিটেন ও জাপান তার প্রমাণ কিছু তারা রেখেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে কেবল মাত্র গায়ের জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি দিয়ে মাস্তান নামিয়ে গ্রেফতার করে কিছুতেই ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না। পৃথীবির কোন স্বৈরশাসকই তা পারেনি। বাংলাদেশর স্বৈরশাসকও তা পারবে বলে মনে হয় না। 










মন্তব্য