ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১১-১২ ১৮:২৬:২৫
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আধাঘণ্টারও বেশী সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এ অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ বলছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈঠক করছেন বলে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, “আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে মিটিং করছেন ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করার উদ্দেশ্যে। স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আরও কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা ওসিকে ফোনেও বিষয়টি অবহিত করেন। তখন ওসি বিষয়টি সিএমপির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন এবং নির্দেশনা পেয়ে অভিযান শুরু করেন।”
ওসি বলেন, ‘যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তারাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢ়ুকতে না পারে আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাইবাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয় এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোঁরা আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোঁরাটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়’-জানান ওসি।