ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১৯ ২১:৪১:১৯
জামায়াতে ইসলামীর কথিত অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আন্দোলনকে ‘রাজনৈতিক প্রতারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, পিআর আন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াত আসলে জনগণের প্রকৃত সংস্কার-আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল।
নাহিদ লেখেন, এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল আলোচনা থেকে জনগণকে সরিয়ে দেওয়া, যাতে ঐকমত্য কমিশনের অধীনে গড়ে ওঠা সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তিনি উল্লেখ করেন, ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি ছিল জনগণের ক্ষমতা সুরক্ষার একটি সাংবিধানিক দাবি। কিন্তু জামায়াত ও তার সহযোগীরা এটিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে, মূল দাবি বিকৃত করে রাজনৈতিক দরকষাকষির উপকরণে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা একটি মৌলিক সংস্কার ও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করছিলাম। কিন্তু জামায়াত এবং তাদের সহযোগীরা সেই প্রক্রিয়া ছিনতাই করে একে কেবল কাঠামোগত পিআর বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে।” নাহিদর অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামী জুলাই অভ্যুত্থানের আগে বা পরে কোনো সময়েই সংস্কার আলোচনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়নি, কোনো সাংবিধানিক প্রস্তাব দেয়নি এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আন্তরিক প্রতিশ্রুতিও দেখায়নি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের অধীনে সংস্কারের বিষয়ে জামায়াতের আকস্মিক অনুমোদন কোনো প্রকৃত সংস্কার আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং এটি কৌশলগত অনুপ্রবেশ। সংস্কারবাদের ছদ্মবেশে এটি এক রাজনৈতিক নাশকতা।”
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন এই প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝে ফেলেছে এবং আর ভুয়া সংস্কারবাদী বা ছলনাকারীদের দ্বারা প্রতারিত হবে না। “আল্লাহ ও এ দেশের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ আর কখনোই অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিকে তাদের শাসন করার সুযোগ দেবে না,” বলেন এনসিপির আহ্বায়ক।