ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০৯ ১৮:৩৯:১৩
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যে বিষয়গুলোতে মতৈক্য হয়নি, তা আগামী নির্বাচনের পরই সমাধান করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, “ম্যান্ডেটবিহীন রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের সব সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেয়নি জনগণ। তাই যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়েই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। বিএনপি যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, তার কিছুতে ঐকমত্য হয়নি—আমরা তা মেনে নিয়েছি। একইভাবে অন্য দলগুলোকেও তা মেনে নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। আর যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো পরবর্তী নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা জানান, দলটি প্রার্থী বাছাইয়ে ধীরে, ভেবে–চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে। “বিএনপি বড় দল, একাধিক প্রার্থীর প্রত্যাশা থাকেই। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তাকেই সমর্থন দেবে,” বলেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু জানান, জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন (স্কিল ডেভেলপমেন্ট), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি বলেন, “জার্মানি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে দেখছে। তবে সবাই জানতে চায়—বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই বিনিয়োগের মূল পূর্বশর্ত।”
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ যে কেউ চাইলে জোট গঠন ছাড়াও ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে, এতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “বিএনপি এসব নিয়ে মন্তব্য করে না। কারো বাসায় কূটনীতিকরা বৈঠক করলে তাতে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না। জনগণ কী চায়, সেটাই বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
খালেদা জিয়ার রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে কখনোই সরে যাননি। জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করা তার স্বাভাবিক বিষয়—এ নিয়ে রাজনীতিকরণের কোনো সুযোগ নেই।”