ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০২ ১৭:০২:২৪




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০২ ১৭:০২:২৪




মরক্কোয় সরকারবিরোধী জেন-জি বিক্ষোভ: নিহত ২

kzqghvva

মরক্কোয় সরকারবিরোধী জেন-জি বিক্ষোভ: নিহত ২

kzqghvva


উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় তরুণ প্রজেন্মর (জেন জি) সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল বুধবার দেশটির উপকূলীয় শহর আগাদিরের লাকলিয়া এলাকায় আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।

বার্তা সংস্থা রয়াটার্স এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার লাকলিয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র লুটপাট। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত এবং কয়েক জন আহত হন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই হাতে ছুরি ছিল। তবে পুলিশ সমানে গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকা তা ব্যবহারের সুযোগ পাননি তারা। তবে তারা থানা এবং পুলিশের যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছেন। ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অবসান, দুর্নীতি দমন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার মান বৃদ্ধির দাবিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে রাবাতে বিক্ষোভ শুরু করেছে তরুণ প্রজন্ম। জেনজি ২১২ নামের একটি অখ্যাত এবং কম পরিচিত সংগঠন এই বিক্ষোভের প্রধান সংঘঠক। তরুণ-তরুণীদের বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং গেমিং অ্যাপগুলোতে প্রচারণা চলাচ্ছে জেনজি ২১২।

এদিকে গতকাল থানায় হামলার পাশাপাশি আগাদিরের বিয়ৌগ্রা এলাকায় একটি ব্যাংক এবং কয়েকটি দোকান লুটপাট করেছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা। আবদেস্লাম চেগ্রি নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, “আমি একটি ক্যাফেতে বসে পিএসজি বনাম রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ দেখছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বেশ কয়েকজন তরুণ পাশের একটি দোকানে পাথর ছুড়ছে। তারপর তাদেরকে দোকনের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে দেখেছি আমি।”

মরক্কোর পর্যটন শহর মারাকেশেও একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভবন ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখান্নৌচের পদত্যাগ দাবি করেছেন জেন জি বিক্ষোভকারীরা।

মরক্কোয় বেকারত্বের হার ১২ দশমিট ৮ শতাংশ এবং এটি ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির তরুণদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং স্নাতক সম্পন্নকারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ বর্তমানে বেকার।  শুরুর পর্যায়ে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সময় গড়ানো সঙ্গে সঙ্গে তা সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা, উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওউজদা এবং তাজায় এখনও কোনো সহিংসতা ঘটেনি। এদিকে বিক্ষোভের গত ৪ দিনে ব্যাপক উল্লম্ফন ঘটেছে জেন জি ২১২-এর। বিক্ষোভ শুরুর দিকে এই সংগঠনটির সদস্য ছিল মাত্র ৩ হাজার; বর্তমানে তা বেড়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ৩০ হাজারে।









মন্তব্য