ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৭ ০১:৫১:৫৭




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৭ ০১:৫১:৫৭




  • রাজনীতি
  • ‘উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সঙ্গে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীরও দেখা মিলছে’.

‘উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সঙ্গে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীরও দেখা মিলছে’

‘উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সঙ্গে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীরও দেখা মিলছে’


 দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতি না ভাঙলে দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সঙ্গে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীদের দেখা পাচ্ছে দেশবাসী। সমাজের ‘উচ্চবংশীয়দের’ সঙ্গে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে এবং তাদের ছত্রছায়াতেই এই অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতি না ভাঙতে পারলে দুর্নীতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।


বুধবার (২৬ জুন) ‘দুর্নীতি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।


সমাবেশ থেকে আগামী ৬ জুলাই দেশের সব উপজেলা ও থানায় দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ২ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝেমধ্যে টোটকা ওষুধ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে বলে দেখানো হবে। কিন্তু লুটপাটের পথ বন্ধ না করতে পারলে লুটপাটকারী ও লুটপাটের ধারা বন্ধ করা যাবে না। লুটপাটকারী ও টাকা পাচারকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।


রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে অতীত ও বর্তমানে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল ও আছে, তারা এই লুটপাটের ধারা তৈরি করেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বামপন্থার বিকল্প নেই, যারা প্রচলিত ব্যবস্থা ও ধারাকে পালটে দিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে নবতর ধারার সূচনা করবে। এই ধারাকে অগ্রসর করতে দেশবাসীকে বামপন্থা ধরতে হবে। সাময়িক টোটকা দিয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না।


সিপিবির অন্য নেতারা বলেন, সরকারি দলের নেতারা বেসামাল কথা বলছেন। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতির নামে প্রকারান্তরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। সরকার ভারত সফর করে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। আবার চীন সফর নিয়েও উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে। অথচ ভারত সফরে আমাদের দেশের স্বার্থে ঝুলে থাকা ৫৪টি নদীর পানি সমস্যা, তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, অসম বাণিজ্য নিয়ে কোনো সুখবর নেই। অথচ একতরফা রেলের জন্য করিডোর দেওয়াসহ তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ভারতের টেকনিক্যাল টিম পাঠানোর কথা মেনে নেওয়া হলো।









মন্তব্য