ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১৯ ১৩:৩২:১৭




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১৯ ১৩:৩২:১৭




  • রাজনীতি
  • পাটের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করেছে সরকার’.

পাটের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করেছে সরকার’

kzqghvva

পাটের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করেছে সরকার’

kzqghvva


সরকার পাটশিল্পকে ধ্বংসের পর এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংস করে গরিব ও অসহায়দের হক থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।


মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।


ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার লোক দেখানো চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে যা তা খুবই সামান্য। কিন্তু এ দামেও কেউ চামড়া ক্রয় না করে পাটের মত চামড়াকেও ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কোরবানির চামড়ার বাজারে এবারও দরপতন। লাখ টাকার গরুর চামড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। সেখানে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে না পারা সরকারের চরম ব্যর্থতা। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই কোরবানির চামড়ার ভয়াবহ দরপতন হচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে পাট শিল্পের মতো চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসে কাজ করছে। এতে দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী এতিম, অসহায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ল। অপরদিকে কওমি মাদরাসা যা সরকারের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই দেশের শিক্ষাখাতে অসামান্য অবদান রাখছে, সে কওমি মাদরাসাগুলোকে ধ্বংসের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে কাজ চলছে।


ইউনুছ আহমদ আরও বলেন, চামড়ার বাজার যদি মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কী করছেন? এর পেছনে কোন চক্র কাজ করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার বাজার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরিব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, শিক্ষা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা খলিলুর রহমান।









মন্তব্য