ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১০-১৩ ০৩:১১:৩৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১০-১৩ ০৩:১১:৩৬




  • জাতীয়
  • লাখো ভোটকক্ষ ফেরেশতার পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব, আমরা পারব না : সিইসি.

লাখো ভোটকক্ষ ফেরেশতার পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব, আমরা পারব না : সিইসি

লাখো ভোটকক্ষ ফেরেশতার পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব, আমরা পারব না : সিইসি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটকক্ষ একজন মানুষের পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব না। এটা ফেরেশতা পারে। আমরা পারব না। নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে গতকাল তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি কিন্তু ওখানে বসে আপনাদের ঘর পাহারা দিতে পারব না। সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার কেন্দ্র, তিন লাখ বুথ, একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে, কুটি কুটি হয়ে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। যেটা ফেরেস্তারা পারে কিন্তু আমরা পারব না। কাজেই আমরা সেই ঐশ্বরিক শক্তি নিয়ে নয়, মানবিক শক্তি নিয়ে যতটা সম্ভব আমরা করব। পর্যবেক্ষণ করব পরিবীক্ষণ করব।

সিইসি বলেন, ভোট বিমুখতা আপনারা তৈরি করেছেন, আমরা করিনি। আমি সামান্য একটা চাকরি করতাম, মাসে মাসে বেতন পেতাম। পলিটিক্স কি, রাজনীতি কি, এত বড় চিন্তা ও সামর্থ্য আমার মাথায় ছিল না। আমার জ্ঞান সীমিত।


তিনি বলেন, আপনারা আর্মির কথা বলেছেন। এর আগে যে ডায়ালগগুলো হয়েছে, প্রতিটা দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিাতি একান্তই কাম্য। আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হচ্ছে কি না, পুলিং (ভোটগ্রহণ) ফেয়ার (সুষ্ঠু) হতে হবে। ভোটাররা আসছে কেউ বাধা দিচ্ছে না, আপনারাও বাধা দিচ্ছেন না, অন্যরাও বাধা দিচ্ছে না। কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই অপরাধ আমরা বন্ধ করিয়েছি।


সিইসি বলেন, আমরা কিন্তু টিভির মাধ্যমে দেখতে চাইব ভোটাররা ভেতরে ঢুকছে কিনা। ঢোকার পর কিন্তু আমরা ওদেরকে দেখতে পারব না। কারণ সেই অধিকার আপনার আমার নেই। আমরা দেখব ভোটার পিসফুলি বেরিয়ে আসছে কিনা, তখন এক ঝাঁক সাংবাদিক তার ইন্টারভিউ নেবে। তারা যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোটারকে বলে ভাই বা বোন আপনি কি ভোট দিতে পারছেন। এভাবে চলতে থাকলে ভোট ভালো হবে। মিডিয়া ও অবজারভার ব্যবহার করা গেলে ভোট স্বচ্ছতা হবে।


তিনি বলেন, ভোটার যদি বলেন ভোট বলতে ভেতরে কিছু নেই সব ডাকাত, তাহলে এটাও প্রচার করেন। পুরোদেশব্যাপী প্রচার হয়ে যাক ভোটকেন্দ্রে ভোট হচ্ছে না কেবল ডাকাতি হচ্ছে। আবার যদি সুষ্ঠু ভোট হয় সেটাও যেন প্রচারিত হয়। আমরা গণমাধ্যমের কাছে ডিজ ইনফরমেশন চাই না। আমরা চাই অবজেক্টিভ ইনফরমেশন। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেকে মিডিয়ার অ্যাকসেস প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। আমরা বলেছি মিডিয়া ভেতরে যেতে পারবে। তাদের অ্যাকসেস লাগবে না। কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে শুধু বলবে আমি অমুক অফিস থেকে এসেছি। তিনি ঘুরে বেড়াবেন, বুথের ভেতরে ঢুকে ছবি নিতে পারবেন। শুধু যেখানে কাস্টিং হচ্ছে সেখানে যেতে পারবেন না। কেউ যদি দেখে কোথাও পটাপট সিল মারা হচ্ছে এটাও প্রকাশ করেন। ভোট অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে। ভোটারকে বাধা দেওয়া যাবে না। ভোটারের ফ্রিডম অব চয়েজ থাকবে।


কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, পেশিশক্তি বলে একটা শক্তি গ্রাউন্ড লেভেলে থাকে। আমাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে, এখাতে হাত দিলে কালো টাকা, ওখানে হাত দিলে কালো টাকা। পুরো পকেট ভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে আমাদের পেশিশক্তি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের কালো টাকা ব্যবহারের জায়গা নেই। কালো টাকা দিয়ে পেশিশক্তি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে। কিন্তু আমরা বলব, পোলিং এজেন্টেদের নিয়োগ দেবেন। কঠিনভাবে ট্রেনিং দেবেন। এজেন্ট যেন বুথে থেকে বের না হয়। সে কলা, চিড়া ও একটা পানির বোতল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকবে। ক্ষুধা লাগলে সেখানেই খাবে, এক বিন্দুও সেন্টার ছাড়বে না।


বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরীর, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে এবং দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাসহ দলের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।









মন্তব্য