ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-২৪ ০১:০৯:১৩




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-২৪ ০১:০৯:১৩




  • রাজনীতি
  • ‘স্বাস্থ্যখাতের ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে: জিএম কাদের.

‘স্বাস্থ্যখাতের ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে: জিএম কাদের

‘স্বাস্থ্যখাতের ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে: জিএম কাদের


ডেইলি বাংলা টাইমস :জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সব খাত থেকেই লুটপাটের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে জড়িত ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে।


দুর্নীতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ডাক্তার নেই এ কথা সংসদে বললে ওই হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা আরও কমে যায়। বাথরুমের সামনেও রোগী থাকে যেন নারকীয় পরিবেশ।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাত হচ্ছে দুর্নীতির বড় আখড়া। দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমলা ও ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। করোনা মোকাবিলায় সাফল্যের চেয়ে দুর্নীতি বেশি হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। কোভিড মোকাবিলায় আমরা নাকি প্রাইজ পেয়েছি। বিদেশ থেকে পুরস্কার কীভাবে আসে আমরা তা জানি। দেশের মানুষ কী আপনাদের পুরস্কার দিয়েছে? বিদেশি প্রাইজের কথা বলে দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। দুঃখজনক হলো, কোভিডের কথা বলেও কিছু মানুষ হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।


বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারী’র নেতৃত্বে শতাধিক চিকিৎসক জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।


জিএম কাদের বলেন, দেশের চিকিৎসা খাতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে। দেশের মানুষ কখনোই চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। দেশের বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, সেবা নেই, যন্ত্রপাতি নেই। দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসকদের ওপর বাড়াবাড়ি রকমের দাবি থাকে সাধারণ মানুষের। যেটা অনেক সময় চিকিৎসকরা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণেই অনেক সময় সংঘাত সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স এবং যন্ত্রপাতি থাকে না হাসপাতালে। যন্ত্রপাতি যা দেওয়া হচ্ছে তা চলছে না।


জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নেই। বাবা তার ছেলেকে বা স্বামী তার স্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মানুষের জীবনের, সম্পদের, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। পুরো সমাজই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এক শ্রেণির মানুষ যা খুশি তাই করছে, কোনো জবাবদিহিতা নেই।


অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো.মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে প্রতিটি উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল জরুরি।


তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার সংবিধানের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন তারা চায় না। একইভাবে বিএনপিও এক সময় সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করেছিলো। এখন বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। আসলে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোনো সমাধান নয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন করতে পারলেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।


যোগদানকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ডা. আজগর হোসাইন, প্রফেসর ডা. সিদ্দিকুর রহমান, প্রফেসর ডা. শহিদুল হক, ডা. আসাদুজ্জামান, ডা. মামুনুর রহমান, ডা. মো. ইমতিয়াজ, ডা. মো. জাবেদ, ডা. মো. ফয়সাল, ডা. মো. আসাদ, ডা. মাহফুজ আলম, ডা. ইসমাইল হোসেন, ডা.হাসামি রাফসান জানি শাওন, ডা. রাফি, ডা.  ফাহাদ খান, ডা. জিএম মাহবুব, ডা. ইসমাইল হোসেন, ডা. মাহফুজুর রহমান, ডা. দুর্জয়, ডা. বিবেক বণিক, ডা. ইরান, ডা. আশিক, ডা. আব্দুল্লাহ, ডা. শায়েব ও ডা. মিনহাজ।  


অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, কেন্দ্রীয় নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তসলিম উদ্দিন, ড. জাফর সিদ্দিকী।


যোগদানকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারী, ডা. মোস্তাকিমুল ইসলাম, ডা. খালেদ সুফিয়ান।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিপটন, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নাসির উদ্দিন সরকার, মো. হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু, সুজন দে, সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন, মেহেদী হাসান শিপন, শাহনারা সুলতানা রিমা, রাকিন আহমেদ, প্রিয়াংকা সুকুল, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, এসএম হাশেম, আল আমিন সরকার, মেহেদী হাসান ইমন, মো. খলিলুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার তসলিম উদ্দিন মুন্সি।  









মন্তব্য