ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-০৭ ১৭:১৯:৫১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-০৭ ১৭:১৯:৫১




  • জাতীয়
  • দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ, নিরক্ষর জনগোষ্ঠী এখনও ২২ শতাংশ.

দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ, নিরক্ষর জনগোষ্ঠী এখনও ২২ শতাংশ

kzqghvva

দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ, নিরক্ষর জনগোষ্ঠী এখনও ২২ শতাংশ

kzqghvva


বাংলাদেশে শিক্ষার সম্প্রসারণে দীর্ঘ দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সত্ত্বেও এখনও দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদনের (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪) তথ্য অনুযায়ী, সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মানে প্রায় ২১ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর।


রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, নিরক্ষর জনগোষ্ঠী মূলত বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য তাদের সাক্ষরতা ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা জরুরি।


উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ অনুযায়ী, ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী নিরক্ষর নারী-পুরুষদের জন্য সাক্ষরতা, জীবিকায়ন দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত কর্মসূচির আওতায় ৬৩ জেলায় ২৫ হাজার ৮১৫টি শিখন কেন্দ্রে ৮ লাখ ২ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৬ জন মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বাকি শিক্ষার্থীরা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করেছেন। ২০২২ সালে সমাপ্ত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪ জেলার ২৪৮টি উপজেলায় ৪৪ দশমিক ৬০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী সাক্ষরজ্ঞান লাভ করেছে।


কক্সবাজার জেলায় বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা শীর্ষক পাইলট প্রকল্প চলতি বছরের জুনে শেষ হয়েছে। এতে ১৩টি অকুপেশনে প্রি-ভোকেশনাল কোর্সে ৬ হাজার ৮২৫ জন কিশোর-কিশোরীকে সাক্ষরতার পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্কিলফো প্রকল্পটি আরও ১৬ জেলায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘অলটারনেটিভ লার্নিং অপারচুনিটি’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৬৪টি জেলার একটি করে উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা এবং প্রাক-বৃত্তিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


সংবাদ সম্মেলনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়, ব্যুরোর জনবল কাঠামো শক্তিশালীকরণ, কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দক্ষতা ও জীবিকায়নভিত্তিক সাক্ষরতা কার্যক্রম, প্রযুক্তিনির্ভর সাক্ষরতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণ।


উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা হলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।”









মন্তব্য