ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-০১ ০১:৩৫:৫৪
গণমাধ্যম সংস্কারের দায়িত্ব কেবল কমিশন বা সরকারের নয়, সাংবাদিকদেরও নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে মত দেন।
প্রস্তাবিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “গণমাধ্যমের সংস্কারের দায়িত্ব সাংবাদিকদেরই নিতে হবে। সবকিছু সরকার বা কমিশনের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না।” তিনি দীর্ঘ সময় ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে সহায়তা করা অংশগুলোর সমালোচনা করেন এবং সাংবাদিকদের দুরবস্থার জন্য সাংবাদিক নেতৃত্বকেই দায়ী করেন। তার মতে, সম্পাদকরা ব্যক্তিগত লাভের আশায় দালালি করলে কোনোদিন অধিকার আদায় সম্ভব নয়। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য তাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া জরুরি। পাশাপাশি মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনায় নামতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, গণমাধ্যম যদি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হতে চায়, তবে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কেবল ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিচালিত মিডিয়া দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাবে না। অধিকাংশ মালিক অন্যের স্বার্থ রক্ষা করে—এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
এদিন বিজেসি আয়োজিত আরেক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারের দায়িত্ব শুধু সরকারের একার নয়। সব পক্ষের অংশগ্রহণ ও সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ ছাড়া এ সংস্কার সম্ভব নয়। আলোচকরা এ সময় প্রেস কাউন্সিলকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ার ভয়ে সরকার নতুন কমিশন গঠন করছে না। তারা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
সিনিয়র সাংবাদিক ও সংগঠনের নেতারাও আলোচনায় অংশ নিয়ে বিগত স্বৈরাচারী শাসনের পেছনে কিছু সাংবাদিকের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তারা মনে করেন, গণমাধ্যম সংস্কার বাস্তবায়ন ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়।