ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-০১ ০১:৪৭:০৭
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য অশুভ শক্তির কার্যক্রম ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্রকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হলে জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রায় এক বছর আগে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশুভ শক্তি সক্রিয় হবে। এখন সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। জনগণ নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন—নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে এগোলেও কিছু রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে নানা শর্ত আরোপ করছে। এসব শর্ত আরোপের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি ও নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তারেক রহমান মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে কার্যকর গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাই জরুরি। সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে জনগণের অধিকার চর্চা ও প্রয়োগ ব্যাহত হলে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার হলেও পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক সরকারের মতো পারফরম্যান্স আশা করা বাস্তবসম্মত নয়। এ কারণে সময় যত গড়াবে, এই সরকারের দুর্বলতা ততই প্রকট হবে।
আসন্ন নির্বাচনে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি কখনো গণতন্ত্র, ন্যায়, বিচার, আইনের শএবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে পিছপা হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। জনগণে‘র সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার ব্যর্থ হলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগণই পরিবর্তনের সুযোগ পাবে—এটাই গণতান্ত্রিক বিশ্বের স্বাভাবিক নিয়ম।
সভায় বিএনপি নেতারা ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পরিকল্পনার দিকনির্দেশনাও তুলে ধরেন। তারা বলেন, বিএনপি প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, বরং জনগণের বাস্তব জীবনের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই রাজনীতি করে।