ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৮-২১ ১৭:২০:১৯




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৮-২১ ১৭:২০:১৯




  • জাতীয়
  • এনবিআর বিলুপ্ত: সংশোধিত অধ্যাদেশে এক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা.

এনবিআর বিলুপ্ত: সংশোধিত অধ্যাদেশে এক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা

kzqghvva

এনবিআর বিলুপ্ত: সংশোধিত অধ্যাদেশে এক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা

kzqghvva


বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ—‘রেভিনিউ পলিসি ডিভিশন’ ও ‘রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন’—গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংক্রান্ত সংশোধিত অধ্যাদেশ পাস হয়।

অধ্যাদেশের সংশোধনী অনুযায়ী, রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের প্রধান পদে এনবিআরের বিদ্যমান কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, রেভিনিউ পলিসি ডিভিশনের প্রধান হিসেবে সরকার চাইলে এনবিআরের বাইরে থেকেও যোগ্য কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে পারবে। এ বিভাগের নেতৃত্বে সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, পরিকল্পনা বা রাজস্ব নীতি–সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগ আগের মতোই রাখা হয়েছে, তবে সংশোধনীতে এনবিআর কর্মকর্তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ স্পষ্ট করা হয়েছে।”


গত মে মাসে এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন কাঠামো তৈরির অধ্যাদেশ জারি হলে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ তুলেছিলেন, মূল অধ্যাদেশ প্রশাসন ক্যাডারের আধিপত্য বাড়িয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে যাওয়ার পথ সংকুচিত করছে। এ নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেন, এমনকি জুন মাসে বন্দর অচল করার মতো কর্মসূচিও পালন করেন। সরকারের কঠোর অবস্থানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।

তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের নেতৃত্বে এনবিআর কর্মকর্তাদের নিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করায় তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, অন্তত আংশিকভাবে হলেও তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং এটাই প্রমাণ করে যে তাদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিল।









মন্তব্য