ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৫ ০০:২৫:০০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৫ ০০:২৫:০০




  • রাজনীতি
  • বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় এড়াতে পারবেন না: কাদেরকে রিজভী.

বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় এড়াতে পারবেন না: কাদেরকে রিজভী

বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় এড়াতে পারবেন না: কাদেরকে রিজভী


সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ আমাদের দলের লোক নয়— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন তখন তো তাকে অস্বীকার করেননি। বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় আপনারা কখনোই এড়াতে পারবেন না।’


মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।


রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে ডামি সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামীকরণের মাধ্যমে জনগণকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের ছায়া-উপছায়া দেশে বিস্তার লাভ করেছে। খুন, রক্তপাত, সহিংসতা, দখল, টাকা পাচার আর অনর্গল মিথ্যা কথা বলাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন— ‘আজিজ, বেনজীরর আমাদের লোক নয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ দুর্নীতিবাজ নয়’। আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই— আপনি কি ডানে বামে তাকিয়ে কথা বলছেন, নাকি আপনাদের স্বভাবসূলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। আপনার কথাই যদি ঠিক হয় তবে আপনাদের ডামি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল কীভাবে? তাছাড়াও অসংখ্য আওয়ামী শীর্ষ নেতার নামে কীভাবে তখন এত মামলা হয়েছিল? ব্যাংক খালি হওয়া, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া, আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিপুল অঙ্কের ঋণখেলাপি, নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত তারা কী তাহলে আওয়ামী লীগের মাঝারি নেতা। আপনার কথায় মনে হয়, মাঝারি নেতাদের দুর্নীতি করার অধিকার রয়েছে। আপনাদের কর্মচারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে।


রিজভী আরও বলেন, ক্ষমতা দখলে রেখে অনন্তকাল অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনাশ করার জন্য শেখ হাসিনা তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেনজীর-আজিজদের ব্যবহার করার পাশাপাশি বড় হাতিয়ারে পরিণত করেছে বিচার বিভাগকে। যে বিচারালয় ছিল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই বিচারাঙ্গনকে পরিণত করা হয়েছে আওয়ামী স্বর্গ আর বিরোধীদের জন্য আতঙ্কপুরী। তাদের নিজেদের লোকদের জন্য এক আইন-সাত খুন মাফ। আর বিরোধীদের জন্য ফরমায়েশি নির্দেশ অনুযায়ী চলে বিচার কার্যক্রম। তারা জামিনও পাবে না। বিনা দোষে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে বাছাই করা দলীয় লোকজন। বিচারের বাণী আক্ষরিক অর্থে আজ নিভৃতে কাঁদছে।









মন্তব্য