ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৩ ১১:৫৯:৪০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৩ ১১:৫৯:৪০




তলিয়েছে সিলেট নগরী, ঘরে ঢুকছে পানি

তলিয়েছে সিলেট নগরী, ঘরে ঢুকছে পানি


সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মাত্র ৬ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ফের তলিয়ে গেছে নগরী। রোববার (২ জুন) রাত ১টা থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণে নগরীর নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে নিচু এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। অনেকের বাসা-বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি উঠে গেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত।


সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর তালতলা, মাছুদিঘীরপার, জামতলা, তোপখানা, কাজির বাজার, যতপুর, তেররতন, কালিঘাট, চালিবন্দর, উপশহর, মাছিমপুর, সোবহানীঘাট, পায়রা, শেখঘাটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।


নগরীর তালতলার বাসিন্দা কিশোর কুমার দাশ বলেন, ২০২২ সালের পরে ঘরে আবারও পানি ঢুকল। পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। বন্যার আগে যদি নদী, ছড়া, খাল, বিল খনন করা হতো তাহলে নগরীতে পানি ঢুকত না।

তোপখানা এলাকার বাসিন্দা সমরেশ কর্মকার বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে আমাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছি। সঠিকভাবে যদি সিটি করপোরেশন নদী খনন করত তাহলে বার বার বন্যাতে আমরা আক্রান্ত হতাম না।


সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবারও বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।


গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গত দুইদিন থেকে নদনদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। যার ফলে সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে ছিল। তবে রোববার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে ফের পানিতে তলিয়ে যায় নতুন নতুন এলাকা।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ ৬৮ ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এতে ৭ শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। রোববার পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ লাখেরও বেশি।









মন্তব্য