ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০১৯-০৪-২৭ ১৫:০০:০০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০১৯-০৪-২৭ ১৫:০০:০০




  • সারা দেশ
  • নুসরাত হত্যার নির্দেশদাতার দায় স্বীকার অধ্যক্ষ সিরাজের.

নুসরাত হত্যার নির্দেশদাতার দায় স্বীকার অধ্যক্ষ সিরাজের

manjwia899@gmail.com

নুসরাত হত্যার নির্দেশদাতার দায় স্বীকার অধ্যক্ষ সিরাজের

manjwia899@gmail.com


বিডি অনলাইন রিপোর্ট :  ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ।

২৭ এপ্রিল , রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় সিরাজের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় ।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি ) মো. ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, সিরাজ উদ দৌলা জেলখানা থেকে মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন ও শাহাদত হোসেন শামীমকে নুসরাতের মায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে বলেন । নুসরাত রাজি না হলে তাঁকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে নির্দেশ দেন ।

আলোচিত এ মামলায় আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে এ পর্যন্ত নয়জন আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন । এরা হচ্ছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন , শাহাদত হোসেন শামীম , আবদুর রহিম শরিফ , হাফেজ আবদুল কাদের , উম্মে সুলতানা পপি , কামরুন নাহার মনি , জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহমেদ ।

নুসরাত এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন । তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এস এম মুসার মেয়ে । তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে নুসরাত তৃতীয় ।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন । নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁর মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন । ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে ।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি । মাদ্রাসার এক ছাত্রী তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে— এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চারতলায় যান। সেখানে মুখোশপরা চার- পাঁচজন তাঁকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন । নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় ।

ওই ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান । ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি ।









মন্তব্য