ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-১৬ ১৯:০৫:৫১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-১৬ ১৯:০৫:৫১




  • অর্থনীতি
  • চলতি অর্থ বছরে বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার: সিপিডি.

চলতি অর্থ বছরে বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার: সিপিডি

kzqghvva

চলতি অর্থ বছরে বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার: সিপিডি

kzqghvva


চলতি (২০২৩-২০২৪) অর্থ বছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)। বিগত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণে এ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে বলে দাবি সংস্থাটির।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ কথা জানান।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার তাগিদ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন অনেকটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত উৎপাদনের পরও কারসাজির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে।


তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।


২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন-গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।


মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, ব্যাংকে তারল্য সংকট রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকায় অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির উত্তরণ প্রয়োজন।


রাজস্ব আহরণের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রত্যাশিত আয়ের জন্য সংস্কার প্রয়োজন। সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমিয়ে আনা প্রয়োজন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার জন্যে বরাদ্দ প্রদানের পরামর্শ উঠে আসে এতে।









মন্তব্য