ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-১৩ ২০:২৯:১৩




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-১৩ ২০:২৯:১৩




  • আইন-আদালত
  • ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে.

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে



গৃহকর্মীর অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে চৈতন্য চন্দ্র হালদার, আশরাফ উল আলম আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।



দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছ থেকে সে দিনের ঘটনার বিষয়ে শুনতে চান। তখন আশফাকুল হক বলেন, এ ঘটনা ঘটার এক দিন আগে আমার মেয়ে দেশে আসে। সে বাহিরে থাকে। তাকে দেখতে আত্মীয়-স্বজন আসে। আগে একটা মেয়ে ওই জায়গা থেকে পড়ে যে আহত হয় সেই বিষয়টটা আলাপে উঠে আসে। রাতে গল্প করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।


তিনি বলেন, সকাল ৮টার দিকে চিৎকার শুনি। আমাদের বাসা জেনেভা ক্যাম্পের পাশে। ছেলেরা বাসার পাশে মাঠে খেলাধুলা করে। আমার স্ত্রী বলে, হয়তো তারা চিৎকার করছে। পরে দেখি অনেক লোক। ওই জায়গার গ্লাস খোলা। মেয়েটা নেই। এরই মাঝে শত শত লোক জমা হয়ে যাই। আমি রেডি হয়ে নিচে নামতে যাই। তখন গার্ডের সঙ্গে পাশের বিল্ডিংয়ের এক প্রতিবেশী আসে। বলে, আপনার বাসা থেকে একটা মেয়ে পড়ে গেছে। অনেক লোক জমে যাওয়ায় আর নিচে যেতে পারিনি।


আশফাকুল হক বলেন, জায়গা ফ্লোর থেকে ৫/৬ ফুট উঁচুতে। রাতের ওই আলোচনা শুনে অতি আগ্রহী হয়ে হয়তো সেখানে গেছে। নয়তো ক্লিন করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।


তানিয়া খন্দকার বলেন, মেয়েটা অনেক চঞ্চল ছিলো। ওর বড় বোন আমার বাসায় কাজ করতো। আমি ও সে ওকে বার বার নিষেধ করেছি সেখানে যাস না। আমি বলেছি, ওখানে কুফা আছে যাবি না। ওর বোন বলেছে, শয়তান আছে যাবি না। ঘটনার দিন সকালে ও পানি খেয়েছে, ফ্রিজ থেকে পিঠা বের করেও খেয়েছে। ওই বিষয় নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিলো। হয়তো এই কারণে সেখানে গেছে। আর পড়ে গেছে।


তখন আদালত সিসি ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চান। আশফাকুল হক বলেন, ক্যামেরা ছিলো। তবে খুব সস্তা। আমার স্ত্রী এটা অনলাইন থেকে কিনেছে। কোনো মেমোরি ছিলো না।


পরে আদালত বলেন, আপনাদের উত্তরে আদালত সন্তুষ্ট না। চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।









মন্তব্য