ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১২-৩১ ১৩:১৩:৩৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১২-৩১ ১৩:১৩:৩৬




  • জাতীয়
  • মানবাধিকার রক্ষায় আসকের ১৫ দফা সুপারিশ.

মানবাধিকার রক্ষায় আসকের ১৫ দফা সুপারিশ

মানবাধিকার রক্ষায় আসকের ১৫ দফা সুপারিশ


বিদায়ী বছর ২০২৩ সালে দেশের রাজনীতিসহ বি‌ভিন্ন ক্ষেত্রে নানা কারণে ল‌ঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার প‌রি‌স্থি‌তি। এসব বিবেচনায় নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা সুপা‌রিশ জা‌নিয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের মানবা‌ধিকার প‌রি‌স্থি‌তি ২০২৩ শীর্ষক এক লিখিত বক্তব্যে আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল এই ১৫ দফা সুপা‌রিশ তুলে ধরেন।

ফারুক ফয়সাল বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার বাস্তবায়নও সরকারের দায়িত্ব। এছাড়া জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সম-অধিকার নিশ্চিত করা। এজন্য সরকার ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

আসকের ১৫ দফা সুপারিশগু‌লো হলো-

>> রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেমন- বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এখতিয়ার বহির্ভূত আচরণ ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে এবং সম্পৃক্তদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তি প্রদান করতে হবে।


>> এ পর্যন্ত সংঘটিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

>

>দেশের যে কোন নাগরিককে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।


>> মিথ্যা মামলা বা গায়েবি মামলা সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো আমলে নিয়ে যথাযথ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


>> নাগরিকের সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার যথাযথভাবে চর্চা করার পরিবেশ তৈরি এবং জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ভিন্নমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ কিংবা কোনো ধরণের ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে।


>> আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পেশাদারিত্বের আওতায় রেখে তাদের কর্ম-পরিধি নিশ্চিত করতে হবে।


>> নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থ্যা গড়ে তোলার জন্য তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


>> ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজ বিশ্বাস ও রীতি চর্চার অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।


>> মানবাধিকারকর্মী ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ দ্রুততার সঙ্গে সংশোধন করতে হবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের নিয়োগের জন্য একটি উন্মুক্ত ও অংগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।


>> পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি সমতলের আদিবাসীদের সাংবিধানিক অ‌ধিকার এবং সাংস্কৃ‌তিক জীবনযাত্রার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।


>> কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


>> দেশে সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পরিবেশ তৈরি করতে হ‌বে।


>> সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থলে পরিবারসহ বাধ্যতামূলক অবস্থানের জন্য পূর্বের ন্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


>> অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সহযোগিতায় বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালুসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বিস্তৃত করতে হবে।


>> রাজনৈতিক দলগুলো যেন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে এবং সমঝোতার মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান করে, সে ব্যাপারে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে।









মন্তব্য