ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০৫ ০১:৪২:৫২




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০৫ ০১:৪২:৫২




  • জাতীয়
  • ইসির সংলাপ: নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে অংশ নেয়নি ১৮ দল.

ইসির সংলাপ: নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে অংশ নেয়নি ১৮ দল

kzqghvva

ইসির সংলাপ: নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে অংশ নেয়নি ১৮ দল

kzqghvva


নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনপ্রাপ্ত ৪৪ টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম অধিবেশনে ২২টি দলের মধ্যে ৯টি দল অংশ নেয়নি। আর বিকেলে আমন্ত্রিত ২২টির মধ্যে ৯টি দল অনুপস্থিত ছিল। দুই বেলায় ১৩টি করে মোট ২৬টি দল অংশগ্রহণ করে। আমন্ত্রণ পাওয়া দলগুলোর মধ্যে বিএনপিসহ ১৮টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আশা ব্যক্ত করেছেন অনুপস্থিত দলগুলোও নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে আসবে।  এদিকে আগামী ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন। সাক্ষাতের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গতকাল সকালে প্রথম ধাপের সংলাপে অংশ নেয় ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। অংশ নেয়নি ৯টি দল। এর মধ্যে এলডিপি, বিজেপি এবং কল্যাণ পার্টি সংলাপে অংশ নেবে না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে আগেই। যে ৯টি দল আসেনি সেগুলো হলো- এলডিপি, বিজেপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিস।

অংশ নেয় আলোচিত তৃণমূল বিএনপি, এনডিএম ও গণফোরামের একাংশ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে আসে। আরও যেসব দল অংশ নেয় তাদের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম।

বিকেলে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিসহ ২২টি দলের অংশগ্রহণের কথা ছিল। তবে বিএনপি ও সমমনা ৯টি দল ইসির আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো না এলেও ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (বাংলাদেশ জাসদ) প্রতিনিধিরা অংশ নেননি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কম সময় নিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। তারপরও দ্রুততার কারণে কোনো দল অংশগ্রহণ না করে াকেন। তারা যদি ইচ্ছা পোষণ করেন কমিশন আলাপ করে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করবো। কারণ আমাদের ইচ্ছে আমরা সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই। নির্বাচনের বড়জোর দুমাস সময় আছে। আমাদের কিছুকাজ দ্রুততার সাে করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে যে প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করেছি তা আপনাদের অবহিত করা কারণ রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্তায় এবং নির্বাচনের প্রধান অংশীদার।

তিনি বলেন, 'আমরা সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই। নির্বাচনের বড়জোর দুমাস সময় আছে। আমাদের কিছুকাজ দ্রুততার সাথে করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে যে প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করেছি তা সকলকে অবহিত করতে চাই, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার এবং নির্বাচনের প্রধান অংশীদার।'

সংলাপে নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তের কথাও উল্লেখ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।  যেমন রাজনৈতিক মতানৈক্য হওয়ার আগে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা না করার পক্ষে মতামত দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। 

বিএনপি- জামায়াত ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো প্রথম থেকেই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার-বিরোধীরা এসব দাবি পূরণ হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশনেও সংস্কার ও পরিবর্তন চায় তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব।   

ইসির সাথে সংলাপে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের একটি রাজনৈতিক দল অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। 

'যেকোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আইনের বিরোধী কাজ করে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, নিচ্ছে এবং আগামীতেও নিবে।'

নির্বাচনের পরিবেশ আছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ আছে ও ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে।









মন্তব্য