ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-২৩ ০০:৪২:৩০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-২৩ ০০:৪২:৩০




  • রাজনীতি
  • এখন কি ‘ইন্না লিল্লাহ’র পরিবর্তে ‘জয়বাংলা’ পড়তে হবে : প্রশ্ন রিজভীর.

এখন কি ‘ইন্না লিল্লাহ’র পরিবর্তে ‘জয়বাংলা’ পড়তে হবে : প্রশ্ন রিজভীর

এখন কি ‘ইন্না লিল্লাহ’র পরিবর্তে ‘জয়বাংলা’ পড়তে হবে : প্রশ্ন রিজভীর


 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বলার কারণে যদি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন; তাহলে কি ইন্না লিল্লাহ’র পরিবর্তে জয় বাংলা বলতে হবে?

তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে দেখছি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের মৃত্যুতে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পড়েছে এবং এটা পড়ার কারণে আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমার কথা হলো- আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি আর না করি আমাদের ধর্মের একটি বিষয় আছে এটি একটি কালচার। কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এটি পড়তে হয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এটি পড়েছে। এই কারণে এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন আপনি কি সাঈদীর জন্য ইন্না লিল্লাহি পড়াতে বহিষ্কার করলেন? তাহলে কি ইন্না লিল্লাহ’র পরিবর্তে জয় বাংলা বলতে হবে? এইটা একটা বড় প্রশ্ন জয় বাংলা বলেনি বলে বহিষ্কার করলেন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


পল্টন-মতিঝিল-শাহবাগ-রমনা ও শাহজাহানপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর দক্ষিণের লিটন মাহমুদ, ইউনুস মৃধাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।


প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী উনি অনেক কিছুই পছন্দ করেন। কিন্তু তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আমার মনে হয়েছে, তিনি ইসলামে যেসব কথা আছে এইটা মনে হয় উনি পছন্দ করেন না। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরেকটি প্রতিহিংসার জায়গা বিএনপি এবং জিয়া পরিবার। গত সোমবার (২১ আগস্ট) জিয়া পরিবার নিয়ে যেসব কথা বলেছেন, সেটা কি একজন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন? আমি অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- এই দেশে যদি গুমের প্রতীক হয়ে থাকে সেটি হলো আওয়ামী লীগ, খুনের প্রতীক আওয়ামী লীগ, অপহরণের প্রতীক আওয়ামী লীগ, এই দেশে প্রথম ক্রসফায়ারের প্রতীক আওয়ামী লীগ। এই ধারা এখনো বন্ধ হয়নি, চলছে। গুম-খুন অপহরণের জন্য একমাত্র দায় আওয়ামী লীগের এবং যারা তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের।



তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আপনি মিডিয়া, আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু ব্যবহার করেছেন গণতন্ত্রের পক্ষের কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। আপনার সিংহাসন থাকবে না। জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে আপনার পতন অনিবার্য।









মন্তব্য