ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-২৫ ১১:৩৫:০৪




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-২৫ ১১:৩৫:০৪




  • জাতীয়
  • সাদা পোশাকের তুলে নেয়ার ১৬ ঘণ্টা পর হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় বিএনপি নেতা কবিরকে উদ্ধার.

সাদা পোশাকের তুলে নেয়ার ১৬ ঘণ্টা পর হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় বিএনপি নেতা কবিরকে উদ্ধার

সাদা পোশাকের তুলে নেয়ার ১৬ ঘণ্টা পর হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় বিএনপি নেতা কবিরকে উদ্ধার


কফি শপ থেকে তুলে নেয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সন্ধান মিলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র সদস্য ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব আবদুল রহমান সানির ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়া ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আজাদের। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তুলে নেয়ার পর গতকাল ভোররাতে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের একটি বাসার সামনে কে বা কারা ফেলে রেখে যায় পরে তাকে উদ্ধার করে শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের ৬ তলার ৬১৭ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি এখনো এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই বলেননি। পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিস্তারিত ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া-কসবা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কবিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গতকাল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে যান। 

কবির আহমেদ ভূঁইয়ার ছোট ভাই মো. মোস্তফা গতকাল সকালে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমার বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়া এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী আজাদকে চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আমাদের ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায়। পরে তাদের উদ্ধার করে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  দু’জনেই আতঙ্কগ্রস্ত। তাদের কারা কীভাবে কোথায় নিয়ে গেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি। 

কবির আহমেদ ভূঁইয়া চিকিৎসার জন্য ২৩শে জুলাই মাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরার বিনস অ্যান্ড অ্যারোমা কফি শপ থেকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা তিনটি গাড়িতে এসে কবির আহমেদ ভূঁইয়াকে তুলে নিয়ে যায়। সারাদিন এমনকি রাতেও তার সন্ধান মেলেনি।  কবির আহমেদের গাড়ি চালক কামালের উদ্ধৃতি দিয়ে তার ভাই বলেছিলেন, ১০ থেকে ১৫ জন কবির আহমেদ এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী আজাদকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। কামাল কোনো ভাবে পালিয়ে আসেন। এ সময় তারা কামালকেও ধরার চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে কবিরের ফোনে কল দিলে রিং হলেও কেউ রিসিভ করেনি। তার সহকারী আজাদের ফোন বন্ধ ছিল। 










মন্তব্য