ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-১৬ ০০:০১:০২




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-১৬ ০০:০১:০২




  • রাজনীতি
  • আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল.

আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল


চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানিয়ে আসছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সে কথায় ফের পুর্নব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’


আজ শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। 


বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এক দফা শুধু বিএনপি বা ব্যক্তির ডাক নয়, এটা সমগ্র জাতির ঘোষণা। মার্কিন ভিসা নীতি বা কী আসছে এগুলো দেখার বিষয় নয়। এটা যাদের দেখার বিষয় তারাই দেখবে। আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান করব। আমাদের লক্ষ্য, টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’ 


আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সকল পেশাজীবী নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবাইকে আবারও জোটবদ্ধ হয়ে সমগ্র মানুষকে জাগ্রত করে এই সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে হবে। যে কোনো পরিবর্তন কখনই সম্পূর্ণ হয় না, যতক্ষণ পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা এগিয়ে আসেন। বিশ্বের বহু দেশে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।’


বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা এখন অস্তিত্বের ক্রান্তিকাল পার করছি। আমরা জাতি হিসেবে বেঁচে থাকতে পারব কি না, ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য ভবিষ্যৎ নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব কি না, এগুলো আজকে খুবই জরুরি। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তার দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও রাষ্ট্রীয় সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’


বিচার ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি অসহায় বোধ করি বিচার ব্যবস্থার কাছে। আজকে শুধু জুডিসিয়াল ক্রাইমের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। হাইকোর্ট যে রায় দেয়, লোয়ার (নিম্ন আদালত) কোর্ট সেটি বাতিল করে দেয়। আমরা যাবো কোথায়? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরার জামিন বাতিল করেছে। তার কী অপরাধ? শুধু ইউটিউবে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছে মাত্র। আজকে বিএনপি করলে কারও চাকরি ও প্রমোশন হয় না। ব্যবসা করলেও বলা হয়, বিএনপি করে। ফলে, গ্যাস ও বিদ্যুৎ নেই। খালি তিনগুণ ট্যাক্স দাও।’


বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার প্রসঙ্গ টেনে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা হয়। আদালতে গেলে অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আজকে সাংবাদিকরা ঠিকমতো লিখতে পারে না। নিউজের ট্রিটমেন্ট দিতে হয় বিশেষ জায়গার নির্দেশে। আর শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। আসলে প্রতারণা করে মানুষকে কীভাবে বোকা বানানো যায়, সেটা তারা ভালো পারে।’


সমাবেশ শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে থেকে একটি নীরব পদযাত্রা বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।









মন্তব্য