ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১২ ২০:৪৮:২৭




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১২ ২০:৪৮:২৭




  • জাতীয়
  • ‘সিটি নির্বাচনে বিএনপি এলে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো’.

‘সিটি নির্বাচনে বিএনপি এলে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো’

‘সিটি নির্বাচনে বিএনপি এলে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো’


ডেইলি বাংলা টাইমস: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সিটি নির্বাচনের এক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী তো আরো আছেন। কেউ নাই তা না। বিএনপি এলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। কেউ যদি না আসে, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবেই না- এটা কি বলা যাবে? আছেন তো আরো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আছেন না? ইলেকশনে দুর্বল কিংবা সবল প্রার্থী বলে কিছু নেই। যিনি দাঁড়ান, তিনিই সবল। সব প্রার্থীই সবল।’


সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দও ও নিরপেক্ষ করতে পারি, সে বিষয়ে প্রাক প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আমাদের কী করণীয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি চ্যালেঞ্জের মতো।’


তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটা সুন্দর নির্বাচন হবে, প্রার্থীরা আচরণবিধিটা যেন ঠিকভাবে প্রতিপালন করেন। আমি নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি। যত পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল, অলরেডি তা অপসারণ হয়েছে। আমরা যদি আচরণবিধিটা প্রতিপালন করাতে পারি, নিশ্চয় একটা সুন্দর ইলেকশন হবে। যে কোনো ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা সেটার ব্যবস্থা নেব। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এতে বাইরের চিত্র দেখা যাবে, কেন্দ্রের ভেতরও দেখা যাবে। বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।’


নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের কোনো বাধা নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ করতে কোনো বাধা নাই। কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তবে তাকে অবহিত করতে হবে। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষের মধ্যে যদি একসঙ্গে ১০ জন ঢুকে যান, তাহলে ভোটের পরিবেশ নষ্ট হবে। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। আমরাও চাই সাংবাদিকরা ভোটের চিত্রটা জনগণের মাঝে তুলে ধরুক। আমরাও চাই সাংবাদিকরা সঠিক বিষয়টা তুলে ধরুক। না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব কি করে?’


ইভিএমে ভোট গ্রহণে সময় বেশি লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে যে ইলেকশনগুলো হয়েছে, তখনকার মেশিন এবার থাকবে না। এখনকার মেশিন অনেক উৎকর্ষতা হয়েছে। এগুলো আরও অনেক বেশি মডিফাই করা হয়েছে। সময় একটু বেশি লাগে, কারণ মহিলা ভোটাররা ইভিএমে ভোট দেওয়া ভুলে যায়। এ কারণে তাদের ভোট দিতে একটু দেরি হয়।’


ইভিএমে অনেকের আঙ্গুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ভোট নিয়েছি, এক পার্সেন্টও হয় না যে তারা ভোট দিতে পারে না। মেয়েরা হাতে মেহেদী দিয়ে যায়, সে কারণে ছাপ মেলে না। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলে আবার আসে। এটার সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। কেউ কিন্তু বলতে পারে নাই যে, সে ভোট দিতে পারে নাই। আগে দুই আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হতো, এখন ১০ আঙ্গুলেরই ছাপ নিচ্ছি। একটা না একটার ছাপ মিলবে।’









মন্তব্য