ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-০৩ ০০:৩২:৫১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-০৩ ০০:৩২:৫১




  • জাতীয়
  • বিশ্বব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলকালাম কাণ্ড.

দেখুন ভিডিও সহ নিউজ:

বিশ্বব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলকালাম কাণ্ড

বিশ্বব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলকালাম কাণ্ড


ডেইলি বাংলা টাইমস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরের সামনের রাস্তা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পরস্পর বিরোধী কর্মসূচির শুরুতে মারদাঙ্গা পরিস্থিতি সামলাতে বেশ কয়েক ডজন দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি অন্ততঃ ৯টি অ্যাম্বুলেন্স দু’পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। তবুও আক্রমণাত্মক স্লোগানে ৩ ঘণ্টা স্থায়ী কর্মসূচিতে তীব্র উত্তেজনা ছিল।


১ মে সোমবার বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার অংশিদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ভেতরে অর্ধ-দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা চলার সময়েই বাইরে উভয় পক্ষের শতশত নেতা-কর্মী পরস্পরের প্রতি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটান। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এ উপলক্ষে ‘জয় বাংলা সমাবেশ’ করার কর্মসূচিতে সেখানে জড়ো হয়। অপরদিকে, বিএনপি বিক্ষোভ করে কেয়ারটেকার সরকার গঠনের দাবিতে। বিশ্বব্যাংকের সামনে এর আগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হলেও এমন মারদাঙ্গা পরিস্থিতির অবতারণা আর কখনো হয়নি বলে জানালেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা।



সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই বিএনপির কয়েক শত নেতা-কর্মী সেখানে অবস্থান নেন। সে সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ ডজনখানেক নেতা এসেছেন মাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা বিশ্বব্যাংকের দরজার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়ার সময়েই বিএনপির র‍্যালি থেকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয় ড. সিদ্দিকসহ অন্যদের প্রতি। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। ড. সিদ্দিক বাম হাতে, তার স্ত্রী শাহানারা রহমানের কপাল ও চোখ, খোরশেদ খন্দকার, এবং আলী হোসেন গজনবীর মুখাবয়বে আঘাত লাগে। এ সংবাদ জেনেই বিপুলসংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ অকুস্থলে হাজির হয়।



অপরদিকে পাল্টাপাল্টি পানির বোতল নিক্ষেপ করায় আওয়ামী লীগের ২ এবং বিএনপি’র এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে নেতৃবৃন্দের অনুরোধে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।


উল্লেখ্য, সকাল ৯টা থেকে আওয়ামী লীগ সেখানে ‘জয় বাংলা সমাবেশ’র ঘোষণা দিয়েছিল। অপরদিকে, বিএনপির লোকজন সকাল ৭টা থেকেই রাস্তার অপর পার্শ্বে অবস্থান নেয়। নিউইয়র্ক সিটি থেকেই ৭টি বাসের বহর আসে সেখানে। নিউ ইয়র্ক ও মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসি তথা ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড ও ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও নিউ ইয়র্ক স্টেট, নিউ ইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, নিউ জার্সি স্টেট সাউথ ও নর্থ, পেনসিলভেনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, কানেকটিকাট, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নিউ ইংল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ওহাইও ও ইলিনয়স থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আওয়ামী লীগের আহতরাও জয় বাংলা স্লোগানে দিতে থাকেন। ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ মুজিব আদর্শের বিভিন্ন সংগঠনের ডজনখানেক নেতা-কর্মীরা।


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র আগমনকে ঘিরে, ভোটার বিহীন রাতের ভোটে নির্বাচিত’ সরকারের অন্যায়, অবিচর, দূর্নীতি, বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলা, গুম, খুনের প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং বিভিন্ন স্টেট কমিটি ছাড়াও যুবদল, জাসাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানার দেখা গেছে। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথ ছাড়বে না বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কর্মসূচীতে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিএনপির নিবাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, দাউদকান্দি বিএনপির সভাপতি এম এ লতিফ ভূইয়া, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সদস্য-সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আহবাব আহমেদ, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি’র সভাপতি হাফিজ খান সোয়াহেল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা কাজী আযম, আকতার হোসেন বাদল, জসিম ভূইয়া, আবদুস সবুর, মোশারফ হোসেন সবুজ, পারভেজ সাজ্জাদ, এম. ডি. আনোয়ার হোসেন, শফিক রহমান দুলাল, গিয়াস উদ্দিন, এবাদ চৌধুরী, ফিরোজ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজ খান, ফারুক হোসেন মজুমদার, অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, গোলাম ফারুক শাহীন, ফারুক চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, অ্যাড. রেদোয়ানা রাজ্জাক, এস এ খোকন, বিএম বাদশা, মাজহারুল হক মিরন, এ আর মাহবুবুল হক, নুর আলম আমানত হোসেন, হযরত আলী, আহসান উল্লা মামুন, রাশেদ রহমান, কামাল পাশা মওদুদ, শাহবাজ আহামেদ, ফারদিন রনি, মোহামেদ জাহাঙ্গীর, তোফায়েল আহমেদ, মনির, জহির খান, নাজমুল হোসাইন, মনির হোসেন, সিদ্দিক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর তরফদার, মোঃ আবু বকর, নুর হোসেন, মাঈনউদ্দিন, মোঃ সেলিম, সালেহ আহমেদ মানিক, মহিন উদ্দিন, ওমর ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুস আলী, প্রফেসর আহসান উল্লাহ মিন্টু, হোসেন মনির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম, মোহাম্মদ তপন, মোহাম্মদ স্বপন, নাজমুল হাসান রিপন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, হাবিব উল্লাহ, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, এমদাদুল আহমদ বাবর, আশরাফুল হাসান, মাহবুবুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সম্রাট, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ মজুমদার, মনির আহমদ, মোহাম্মদ সোহাগ, মোহাম্মদ জুনাইদ, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, মহন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ ফরহাদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আবু সাঈদ আহমদ ও ইলিয়াস খান, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতেন, স্টেট যুবদলের সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল আজাদ ভুঁইয়া, এম. সিদ্দিক পাটোয়ারী, বিএম বাদশা, আনোয়ার হোসেন পলাশ, সেলিম আহমদ, শামীম তালুকদার, গোলাম মোস্তফা, আহমদ সালেহ, ছাত্রদলের নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র জাগপা সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ প্রমুখ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্য থেকেও বিএনপি দলীয় শতশত নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।


অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ, ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. মোহাম্মদ আলী মানিক, মাহবুবুর রহমান, লুৎফুল করিম, চন্দন দত্ত, হাজী এনাম, মাহাবুবুর রহমান টুকু, ফরিদ আলম, আশরাফুজ্জামান, আব্দুর রহিম বাদশা, আইরিন পারভিন, ইউসুফ ইকবাল, মোর্শেদা জামান, দেওয়ান বজলু, মুজিবউদ্দিন, এম রহমান জহির, দেওয়ান জমীর পলাশ, আব্দুল হাই, আবুল হাসান মিলন, অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, ফরিদা ইয়াসমিন, শাহীন আজমল, সবিতা দাস, সেলিনা আজাদ, জাহিদ হোসেন, সাখাওয়াত বিশ্বাস, আজিজুল হক খোকন, মাসুদ হোসেন সিরাজি, জাসদ নেতা আব্দুল মোসাব্বির, নূরে আলম জিকো প্রমুখ।


দেখুন ভিডিও সহ নিউজ:












মন্তব্য