ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-০৪ ১৮:০৫:২৭




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-০৪ ১৮:০৫:২৭




অরুণাচল প্রদেশের ১১ জায়গার নতুন নাম দিয়েছে চীন

অরুণাচল প্রদেশের ১১ জায়গার নতুন নাম দিয়েছে চীন


ডেইলি বাংলা টাইমস: অরুণাচল প্রদেশের ভূখণ্ড নিয়ে চীন-ভারতের মধ্যে নতুন করে বিরোধ তৈরি হয়েছে। আবারও ভারতের এই প্রদেশের ১১টি স্থানের নতুন নাম প্রকাশ করেছে চীন। এই প্রদেশের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবির অংশ হিসেবে চীন এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ করছে ভারত।


চীন এ নিয়ে তৃতীয়বার অরুণাচল প্রদেশের ‘নতুন নামকরণ’ করেছে। চীন এই পুরো অঞ্চলকে ‘জাঙ্গনান’ বলে থাকে, যাকে তারা তিব্বতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশ মনে করে।


চীনের বেসামরিক–বিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার চীনা, তিব্বতি ও পিনইন ভাষার অক্ষরে এসব নাম প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, চীনের স্টেট কাউন্সিল ও মন্ত্রিসভার জারি করা নামের সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন ভৌগোলিক নাম প্রকাশ করা হয়েছে।



চীনের নতুন করে প্রকাশ করা নামের মধ্যে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি ভূমি এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা ও দুটি নদী রয়েছে।


২০১৮ ও ২০২১ সালে এভাবে চীন অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকার নাম পরিবর্তন করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। এর আগে চীন ২০১৭ সালে প্রথম ছয়টি স্থানের নতুন নামকরণ করেছিল। আবার ২০২১ সালে ১৫টি জায়গার নতুন নাম প্রকাশ করে।


তবে নয়াদিল্লি প্রতিবারই অরুণাচল প্রদেশে চীনের ভূখণ্ডের দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অখণ্ড অংশ, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।


ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বলেছিলেন, চীন এবারই প্রথম অরুণাচল প্রদেশের কিছু জায়গার নাম নতুন করে প্রকাশ করেছে, এমন নয়। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অখণ্ড অংশ আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রদেশের নতুন নতুন নামকরণ করে এই সত্যের পরিবর্তন করা যাবে না।



চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভৌগোলিক নামকে মানোপযোগী’ করতে চীনা কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ নিয়েছে।


দালাইলামা অরুণাচল প্রদেশ সফরের পর ২০১৭ সালে চীন প্রথম নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। চীন তখন তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতার অরুণাচল প্রদেশ সফরের কড়া সমালোচনা করেছিল।


দালাইলামা অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং দিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন। ১৯৫০ সালে চীন এই হিমালয় অঞ্চলের সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।


গত ডিসেম্বরে তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলীয় লাদাখে কয়েক মাসের অচলাবস্থার মধ্যে অরুণাচলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়েছিল।


তখন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিযোগ তুলে বলেছেন, চীন ‘একতরফা’ এলএসিতে স্থিতাবস্থার পরিবর্তন করছে।









মন্তব্য