ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১১-১৬ ১৮:২২:৪৪
রাত পোহালেই পর্দা উঠবে বহুল প্রতীক্ষিত নারী কাবাডি বিশ্বকাপের। তার আগের দিন টুর্নামেন্ট ট্রফির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রফিটি উন্মোচন করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এদিন বিকেলে এ তথ্য জানান।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নারীদের কাবাডি বিশ্বকাপ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর আবার মাঠে গড়াচ্ছে এ টুর্নামেন্ট। এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। আগামী ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ৮ দলের অংশগ্রহণে হবে এই প্রতিযোগিতা। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে চীনা তাইপে, জার্মানি, ইরান, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জানজিবার।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় বিশ্বকাপ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করতে সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান শুধু বিশ্বকাপকে সামনে আনার উৎসবই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী খেলাধুলার উন্নয়নে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বও তুলে ধরেছে বলে জানান তিনি। অংশগ্রহণকারী সব দলকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আয়োজক, খেলোয়াড় ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। আট দিনের এ প্রতিযোগিতাকে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বৈশ্বিক ক্রীড়া বন্ধুত্বের উৎসবও বলে অভিহিত করেন তিনি।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, লজিস্টিক্স, নিরাপত্তা, দলীয় আবাসন এবং দর্শক অংশগ্রহণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকার সক্রিয়ভাবে নারী ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলায় তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছেন এবং তাদের উৎকর্ষ সাধনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
২০১২ সালে টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে সেখানে জাপানের কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নিতে হয়। এবার ঘরের মাঠে শিরোপার দিকে নজর থাকবে লাল সবুজদের। প্রথম আসরে ইরানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।