ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১৯ ২১:৪০:১৭
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে আমরণ অনশন স্থগিত করে সোমবার (২০ অক্টোবর) সেখানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষকদের দাবি—বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা। এসব দাবিতে টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। রোববারও সকাল থেকে শহীদ মিনারে অনশন চলছিল। বিকেলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিন সকালে অর্থ বিভাগ এক আদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) নির্ধারণে সম্মতি দেয়। উপসচিব মিতু মরিয়মের স্বাক্ষর করা ওই আদেশে বলা হয়, ছয়টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্তটি আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে আন্দোলনকারীরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ৫ শতাংশ নয়, তাদের দাবি ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শিক্ষকরা শহীদ মিনার থেকে ‘ভুখা মিছিল’ বের করেন। “যৌক্তিক আন্দোলন মেনে নাও নিতে হবে”, “২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিতে হবে”, “ভাতা মোদের দাবি নয়, অধিকার অধিকার”—এমন নানা স্লোগান দিতে দিতে তারা শিক্ষাভবনের দিকে অগ্রসর হন। তবে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মাজার রোডের সামনে পুলিশ তাদের মিছিল আটকে দেয়।
এদিন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণে অগ্রাধিকার দেবে।
অন্যদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার বলেছেন, সরকারের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি শিক্ষক সমাজের আরও বেশি প্রাপ্য। তবে বর্তমান সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় যে বরাদ্দ দিয়েছে, তার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। এখন শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত।”
তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সোমবার (২০ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।