ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০৭ ১৫:২৮:৩৮




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০৭ ১৫:২৮:৩৮




  • মিডিয়া
  • পুরনো নিয়মেই নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিল অন্তর্বর্তী সরকার.

পুরনো নিয়মেই নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিল অন্তর্বর্তী সরকার

kzqghvva

পুরনো নিয়মেই নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিল অন্তর্বর্তী সরকার

kzqghvva


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হলো ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নেক্সট টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২৪ জুন ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’-এর নামে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। অফিসের ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন। লাইভ টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৪ জুলাই ‘মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড’-এর নামে। এর মালিক আরিফুর রহমান ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য, তবে এনসিপিতে যোগ দেননি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন দুই চ্যানেলের অনুমোদন পুরনো প্রথা অনুযায়ী করা হয়েছে। যদিও এখনো বেসরকারি টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নেক্সট টিভির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন বগুড়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম গোলাম হাসনাইন। তিনি সৌদি প্রবাসী এবং সৌদি বিএনপির পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি। লাইভ টিভিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকছেন একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক, যিনি মূলত চ্যানেলটি গোছানোর কাজ করছেন।

এর আগে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি চ্যানেল অনুমোদন দেয়, বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ে ১০টি, এবং ২০০৯ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে আরও লাইসেন্স দেওয়া হয়।  বেসরকারি খাতে বর্তমানে অনুমোদিত চ্যানেলের সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে, বাকি ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদিত আইপি টিভি সংখ্যা ১৫।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে বাজারের চাহিদা ও আর্থিক সক্ষমতার তুলনায় বেশি সংখ্যায় লাইসেন্স প্রদানের ফলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিশন সুপারিশ করেছে, ভবিষ্যতে লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের আওতায় রাখা হোক। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি।









মন্তব্য