ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-১৬ ১৯:৩৪:৩৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-১৬ ১৯:৩৪:৩৬




  • জাতীয়
  • নাগরিক অধিকার নিশ্চিত না হলে জাতি হিসেবে ব্যর্থ হব: প্রধান উপদেষ্টা.

নাগরিক অধিকার নিশ্চিত না হলে জাতি হিসেবে ব্যর্থ হব: প্রধান উপদেষ্টা

kzqghvva

নাগরিক অধিকার নিশ্চিত না হলে জাতি হিসেবে ব্যর্থ হব: প্রধান উপদেষ্টা

kzqghvva


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বৈষম্যমুক্ত নতুন দেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেটি ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তিনি স্পষ্ট করে জানান, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হলে জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা ২৪ জুলাই যে অসাধ্য সাধন করেছে, তার মূল লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক সমান সুযোগ পাবে। ছেলে বা মেয়ে, ধনী বা গরিব—সবাই সমান মর্যাদা ভোগ করবে। তারা বন্দি হয়ে বাঁচার জন্য জন্মায়নি, ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য জন্মায়নি। আমরা তাদের সেই স্বাধীনতা ও সুযোগ দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু হয়েছে, সেটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তার ভাষায়, “সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ঐক্য ও সম্প্রীতির জয় ঘটাতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে এমন এক রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াক, যাকে অন্যরা অনুসরণ করবে।”

প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের প্রসঙ্গে দুর্গাপূজার প্রতীকী কাঠামোর উদাহরণ টেনে বলেন, “দেবী দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মীর সম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বীরত্ব আর গণেশের সাফল্য মিলেই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে। তেমনি আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অশুভ শক্তিই আমাদের ব্যর্থ করতে পারবে না।”

তিনি পুরো জাতিকে একটি পরিবারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “পরিবারের ভেতর মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু পরিবারের ঐক্য অটুট থাকে। রাষ্ট্রও তেমনই হওয়া উচিত। নাগরিকদের মধ্যে ধর্ম, মতবাদ বা আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।”


নাগরিক অধিকারের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “রাষ্ট্র সংবিধানে নাগরিকের সব অধিকার তালিকাভুক্ত করেছে। কোনো সরকারই কাউকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ক্ষমতা রাখে না। আমরা সবাইকে বলতে চাই—আমি নাগরিক, আমার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবি সবার হলে সারা দেশ ঐক্যবদ্ধ হবে।”


নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে ধর্ম পালন করার বিষয়টিকে তিনি “হাস্যকর” অভিহিত করে বলেন, “আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে ধর্ম পালন করতে চাই না। আমরা চাই নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশে, নাগরিক হিসেবে স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে। এত রক্তপাত, এত আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এরকম রাষ্ট্র গড়তে চাইনি।”









মন্তব্য