ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৮-২৪ ১৮:৪৯:০১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৮-২৪ ১৮:৪৯:০১




  • সারা দেশ
  • নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ড. খোন্দকার বাবলুর.

নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ড. খোন্দকার বাবলুর

kzqghvva

নদী ভাঙ্গন রোধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ড. খোন্দকার বাবলুর

kzqghvva


মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঘুটিয়া ও বাচামারা ইউনিয়নের দূর্গম  চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকাতে অসময়ে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে  একাধিক স্কুল,মাদ্রাসা,বাজার এবং বিভিন্ন সরকারি স্থাপনাসহ বসতবাড়ি-ঘর ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় দুুই ইউনিয়নের জনগণ । 

কৃষক দল নেতা সেলিম মিঞার সঞ্চালনায় এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক যুবদলের সভাপতি কামরুল হাসান বাচ্চুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সাধারণ জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু। 

গত শুক্রবার উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকার যমুনা নদীর তীরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো অসংখ্য মানুষ ও স্থানীয়রা অংশ নেন। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে স্থানীয় অসংখ্য নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশ নেন।


এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু  বলেন, যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাঘুটিয়া ও বাচামারা  ইউনিয়নের বহু পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ‘‘গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার পরও এ এলাকায় বালু দস্যুতা বন্ধ হয়নি। আমাদের দলের এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত এখন অবাধে বালু তুলে নদী ভাঙন বৃদ্ধি করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো এ বালু সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিন।’’ এসময় তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন আপনাদের একাধিকবার বলা হলেও কোন অদৃশ্য কারণে আপনারা বালু সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ইজারাকৃত বালু মহলের বাইরে এসে যারা বলগেট দিয়ে ভালো উত্তোলন করে আপনারা তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছেন। বালু উত্তোলনে ব্যবহার হচ্ছে কাটার মেশিন ও শতশত বলগেট। কাটার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন সকাল,সন্ধ্যা,রাত পর্যন্ত বালু উত্তোলন করা হয়। এসময় খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন এবার যদি বালু উত্তোলন বন্ধ না হয় সাধারণ জনগনকে নিয়ে ভাঙ্গন রোধে বাধা হয়ে দাঁড়াবো।  

এসময় তিনি অনুরোধ করে বলেন-এ ভাঙ্গন রোধকল্পে জিও ব্যাগ ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন র্বোডসহ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়া, নদী ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী বেড়িবাধ নির্মাণের জোড় দাবি জানান তিনি।

উপস্থিত আরও বক্তারা বলেন- অব্যাহত নদী ভাঙনে ভিটেমাটি ও সহায়-সম্ভব হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হলেও সংশ্লিষ্টরা ভাঙন রোধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের উদ্যোগের দাবি জানান বক্তারা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন  শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মহিদুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান মাষ্টার,দৌলতপুর উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সার্জেন্ট শাহীন,খলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা: আব্দুল মান্নান, বাঁচামারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া মোল্লাহ,দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রহিম শেখ, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হিমু খান, দৌলতপুর উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম লিটন, শিবালয় উপজেলা  মৎস্যজীবি দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রাজবংশী,খলসী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক সহ দলের ও অংগসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।









মন্তব্য