ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-২১ ১৮:৪৪:৩৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-২১ ১৮:৪৪:৩৬




  • জাতীয়
  • উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: স্কুল ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ায় বের হতে পারেনি বেশির ভাগ শিক্ষার্থী.

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: স্কুল ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ায় বের হতে পারেনি বেশির ভাগ শিক্ষার্থী

kzqghvva

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: স্কুল ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ায় বের হতে পারেনি বেশির ভাগ শিক্ষার্থী

kzqghvva


 রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দর আলী ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ায় ভেতরে থাকা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বের হতে পারেনি।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের হায়দর আলী ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ে এবং নিচ তলায় ভবনটির এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে আরেক পাশে বের হয়ে যায়।


সরেজমিনে দেখা গেছে, দোতলা হায়দার আলী ভবনটি পশ্চিমমুখী। ভবনটির মাঝখানে প্রধান ফটক এবং দোতলায় ওঠার সিঁড়ি। বিমানটি সোজা ফটকে আছড়ে পড়ে ভবনটিকে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও সেনাসদস্যরা বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে বিমানটির বিভিন্ন অংশ কেটে বের করছেন।


ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ভবনটির প্রধান ফটকে সব সময় স্কুল স্টাফরা বসে থাকেন, সিঁড়ির নিচে স্টাফদের কক্ষ রয়েছে। বিমানটি প্রধান ফটক ভেঙে কক্ষের ভেতরে ঢুকে যায়। আগুনের তীব্রতায় পুরো ভবন কালচে হয়ে গেছে। ভবনের সামনের গাছগুলো পুড়ে গেছে, উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন সেনাসদস্য আহতও হয়েছেন।


মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েম জানান, সে বেলা ১টা ১০ মিনিটের পর বিকট শব্দ শুনতে পায়। এ সময় তারা কলেজটির চার নম্বর ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষে ছিল। দৌড়ে এসে দেখতে পায়, হায়দর আলী ভবনে আগুন জ্বলছে।


সায়েম জানায়, তারা কয়েকজন মিলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের এত তীব্রতা বেশি ছিল যে, তারা কাছেও যেতে পারেনি। এ সময় দেখা যায়, কিছু শিক্ষার্থী গায়ে আগুন নিয়ে বের হয়ে আসলেও কিছু শিক্ষার্থী ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে।


এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিমানটি ভবনের প্রধান ফটকের ভেতর ঢুকে যাওয়ায় ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীরা (বেশির ভাগ) আর বের হতে পারেনি। কারণ, ভবনটির চারপাশে লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো। তাই নিচে যারা ছিল তারা আর বের হতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিস আসার পর আগুন নেভানোর পর গ্রিল কেটে এবং ছাদে মই দিয়ে উঠে তাদের উদ্ধার করা হয়।’ এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


প্রত্যক্ষদর্শী আরেক শিক্ষার্থী ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটিতে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। স্কুল একটার মধ্যে ছুটি হয়ে যায়। আজও ছুটি হয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে গিয়েছিল, আর কিছু শিক্ষার্থী বের হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অনেকে আবার স্যারদের কাছে কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। তখনই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।’









মন্তব্য