গতকাল রাতে জামায়াত আমির দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) এ ঘটনার পর থেকে তার খোঁজখবর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণের অনেকেই।

এর মধ্যে গতকাল রাতেই জামায়াত আমিরকে দেখতে ধানমন্ডির শংকরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানও। 

এছাড়াও অসুস্থ জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা। 

রোববার (২০ জুলাই) নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এসব কথা জানান ডা. শফিকুর রহমান। যারা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন, অন্য একটি পোস্টে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভা মঞ্চে অসুস্থ হওয়ার পর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

এর আগে শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্রামের জন্য বাসায় এসেছি। আমার এ সাময়িক অসুস্থতার কারণে আজকের সমাবেশে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

তিনি লেখেন, ‘এটি আমার ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন। অসুস্থ হওয়ার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশের অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন।’

ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘হাসপাতালে স্বল্প সময়ে থাকাকালীন বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদসহ নেতৃবৃন্দর একটি টিম, খেলাফত মজলিসের আমীর হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের এবং খেলাফত মজলিসের অন্যতম সিনিয়র নেতা জনাব আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত আন্দোলন, এনসিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ তারাও সরাসরি খোঁজখবর নিয়েছেন।’

‘দেশ-বিদেশে অসংখ্য সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এমনকি বাংলাদেশীদের বাহিরেও অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মাননীয় উপদেষ্টাসহ আরও অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দোয়ার জন্য ঋণী। তাদের এ ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকলকে যেন দান করেন।’ তিনি আরও লেখেন, ‘রাব্বুল আলামিন তাঁর এ গোলামকে বাকি জিন্দেগি তাঁর পছন্দমত মানবতার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।’