ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-১৪ ২২:০৪:৪৮




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-১৪ ২২:০৪:৪৮




  • রাজনীতি
  • তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু.

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু

kzqghvva

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু

kzqghvva


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বিকালে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে লালচাঁদ সোহাগকে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। ফকিরেরপুল থেকে শুরু করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় পর্যন্ত মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মিছিলটি বিজয়নগর দিয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করে। এই মিছিলে ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। ‘রাজাকার আর স্বৈরাচার মিলে মিশে একাকার’ ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশি, বাংলাদেশি’, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ’, ‘এই লড়াই মুক্তির এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘বাংলাদেশ, গণতন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ছাত্রদলের এই বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু, ‍যারা দেশের বিরুদ্ধে বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু। আসুন, আজকে এই শান্তিপূর্ণ র‌্যালির মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি ওই সমস্ত তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদেরকে যারা তারেক রহমান সম্পর্কে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বলেছেন। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তাই বলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বলব না, এটা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নেতাকে অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বললে মান ছোট হয় না, ছোট হয় তারা যারা এসব অশ্লীল কথা বলে। আমরা আমাদের যে ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য নিয়ে ১৫ বছর যে লাঞ্ছিত হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি, নিপীড়িত হয়েছি সেই ঐক্য নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। আমি সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব, আসুন গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
মিটফোর্ড এলাকায় বুধবার প্রকাশ্যে লালচাঁদ সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই খুনের ঘটনার পুঙ্খানুপঙ্খুরূপে তার তদন্ত হতে হবে, যারা দায়ী তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা (নির্মম হত্যাকাণ্ড) যারা করছে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য করছে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে র‌্যালিতে অংশ নিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেই, দেশবাসীকে জানিয়ে দেই এবং একই সঙ্গে যারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরও জানিয়ে দেই বিএনপি একমাত্র দল যে দল জনগণকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
‘ওদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন কারো পাতানো ফাঁদে পা না দেই। তারা চেষ্টা করছে আমাদেরকে উত্তেজিত করে তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয়ার জন্য যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র চাই। আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই যে, বাংলাদেশে সেই ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে সেটা আমাদের তারেক রহমান সাহেব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে আলাপ করে ঠিক করেছেন। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন ঠিক হওয়ার পরের দিন থেকে ওদের মাথা বিগড়ে গেছে। যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমান সাহেব নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে, এবার নির্বাচন হবে তখন থেকেই তাদের মাথা বিগড়ে গেছে। আমরা নির্বাচন চাই, যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সময়টাতে আমরা নির্বাচন চাই। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই, আমরা জনগণের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করতে চাই, চাকরির সংস্থান করতে চাই, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করতে চাই আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ যে, বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা, অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিভাজন সৃষ্টি করা, বাংলাদেশকে আবার একটা জায়গায় নিয়ে আসা যেখানে গণতন্ত্র আবার তিরোহিত হবে। সেজন্য আমাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বড় দল হিসেবে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে, ১৬ বছর আমরা যে কষ্ট করেছি, আত্মত্যাগ করেছি, আমাদের দেশনেত্রীকে ছয় বছর অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে, আমাদের নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে, আমরা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা একসাথে হয়ে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করেছি। আবার ফ্যাসিস্টদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নয়। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোনোদিন যেন ফ্যাসিজম এদেশে চালু হতে না পারে তার ব্যবস্থা আমরা করব। আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ রাখব যে, ধৈর্য ধরে সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল, এই দলকে দেশের জনগণ ভালোবাসে। এই দলকে সহজে জনগণের মন থেকে উঠিয়ে ফেলা যাবে না, যত ষড়যন্ত্রই করেন। একটি কথা না বললেই নয়, এক লোক (চরমোনাইয়ের পীর রেজাউল করীম) এক লোকের দল, আমি নামটা তার বলতে চাই না। ওই লোকটি এবং তার দল (ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ) যারা বলছে, স্লোগান দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ গেছে যেই পথে বিএনপি যাবে সেই পথে। আরে বেটা এত সহজ নাকি এটা এতই সহজ। আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা নাই। এই বাংলাদেশ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। এই লোকটি এবং তার দল-বল বিএনপিকে এখন সহ্য করতে পারছে না কিন্তু আওয়ামী লীগকে ঠিক সহ্য করতেন। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপরে হামলা করা হয়েছিল এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়ান নাই। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছে?’ বলেন তিনি। জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইংগিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, আর একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলে সুকৌশলে চাঁদা নেয়া ছাড়া, সুকৌশলে হাদিয়া নেয়া ছাড়া তাদের কোনো কাজ নাই। টাকা নিয়েছেন বসুন্ধরার কাছ থেকে, টাকা নিয়েছেন সিটি গ্রুপের কাছ থেকে। আরও কোন কোন গ্রুপের কাছ থেকে টাকা খান আমাদের জানা আছে, সব কিছুর হিসাব হবে। গায়ের জোরে কথা বলেন। নিজের পায়ে জোর নাই। এরশাদের সময়ে এরশাদের কাঁধে ভর করেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করেন, বিএনপির সময়ে বিএনপির কাঁধে ভর করেন লম্বা লম্বা কথা বলেন। এখন বিএনপি ওদের একমাত্র মাথা ব্যথা, বিএনপিকে যদি শেষ করে দেয়া যায় তাহলে ওনারা রাজত্ব করতে পারবেন। তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। কোনো লাভ নাই, তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরেকটা আছে যে কী বলে বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি। এই চিলড্রেন্স পার্টির অনেকে এখন তারেক রহমান সম্পর্কে কথা বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কথা বলেন। আরে ভাই তোমাদের দাদাও তো জিয়াউর রহমানকে চিনে। কী সমস্ত কথা বলে এরা। এখন এই সমস্ত লোকের কথা-বার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।









মন্তব্য