ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-০৩ ০১:৩০:৩২
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি ও নাশকতার পর কয়েক দিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও আবার অস্থির হয়ে উঠেছে দেশ। শুক্রবার (২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে প্রার্থনা ও গণমিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি দেশজুড়ে পালিত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি জেলায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। কয়েকশ মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর উত্তরা, হবিগঞ্জ, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী ও ঝিনাইদহে। এছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শিক্ষার্থীরা গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তারা শিক্ষার্থীদের দেওয়া নয় দফা মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কোথাও কোথাও সরাসরি সরকারের পদত্যাগও দাবি করা হয়।
হবিগঞ্জে নিহত ১, আ.লীগ অফিসে আগুন
হবিগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি শ্রমিক বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে মোস্তাক মিয়া (২৪) নামে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। জানা গেছে, তিনি জুতা কিনতে এসেছিলেন। এ সময় সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে মারা যান। তার বাড়ি সিলেটের টুকের বাজার এলাকায়। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থানে নেন। এ সময় পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতাকর্মীরা। এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে।
একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তার বাসার সামনে রাখা ১০টি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছররা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
উত্তরায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি
রাজধানীর উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। বিকেল সোয়া চারটার পর আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। এ সময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা জমজম টাওয়ারের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়েন। পরে বিকেল ৫টার পরে আবার শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে ওঠার চেষ্টা করেন। তখন আবার তাদের লক্ষ করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরা আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিশাল মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা গল্লামারী পৌঁছালে জিরোপয়েন্টের দিকে থেকে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে টিয়ারসেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দিতে দেখা যায়। পরে বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে যায়। পরে তারা জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেয়।
সেখানে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিকাল ৪টার দিকে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নেয় কিছু শিক্ষার্থী। তাদের দুই পাশ দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশ একের পর এক টিয়ালসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তাদেরও সাজোয়া যান নিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানেও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সিলেটে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা পেরিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বাধার মুখে তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চট্টগ্রামে পুলিশ বক্স ভাঙচুর
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ‘ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার গণমিছিলটি’ ওয়াসা এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বাধার মুখে পড়ে। স্লোগান-পাল্টাস্লোগানের এক পর্যায়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সাঁজোয়া যানে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ বক্স। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ বলেন, ওয়াসার মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়েছে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। পরে সেটি ওয়াসা থেকে আলমাস সিনেমা হলের দিকে সরে যায়। তখন বেলা পৌনে চারটা। এতে কেউ আহত হয়নি। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
লক্ষ্মীপুরে গণমিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান এবং এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পরপরই শহরের চকবাজার জামে মসজিদ এলাকায় থেকে তমিজ মার্কেট এলাকায় থমথমে অবস্থা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল হওয়ার কথা ছিল বাদ জুমা। কিন্তু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপু তার লোকবল এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নামাজের পরপর চকবাজার মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন। তারা নামাজের পর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন মসজিদ এলাকা। এতে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করেন সাধারণ মুসল্লিরা। এর কিছুক্ষণ পর টিপু তার অনুসারীদের নিয়ে নিজের বাসভবন তমিজ মার্কেট পিংকু প্লাজার সামনে অবস্থান নেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গণমিছিল নিয়ে আদর্শ সামাদ স্কুল এলাকা থেকে শহরের চকবাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা টিপুর বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তখন টিপুর বাসা থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এসময় এক শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন হামলাকারীরা। একই সময় জিহাদুল ইসলাম রবি নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নাক ফেটে যায়। এতে অন্তত ৭-৯ জন আহত হয়েছেন।
নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা, সংঘর্ষ
নরসিংদীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও গণগ্রেফতার, শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার গণমিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অংঙ্গ সংগঠনের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অংঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় নরসিংদী সদর উপজেলা মোড় এলাকার নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে আগে থেকে ছাত্রলীগ নরসিংদী উপজেলা মোড় এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর পৌনে তিনটা নাগাদ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা মোড় এলাকায় প্রবেশ করলে প্রথমেই পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে একে একে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অংঙ্গসংগঠের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা দিতে গেলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে ৪/৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। আহতদের নরসিংদীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড়ে অবস্থান নেয়।
৯ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গণপদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসময় পুলিশের লাঠির আঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় ৫ ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের সরকারি মাহতাবউদ্দিন কলেজ মাঠে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ ৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। পরে তারা শহরের নলডাঙ্গা ভ্যানস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বক্তারা আটক শিক্ষার্থীদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির আলটিমেটাম দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ জানান, শিক্ষার্থীদের মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারা নিষেধ না শোনায় পুলিশ ৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।