ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৮ ২৩:৫৮:৫৮




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৮ ২৩:৫৮:৫৮




  • রাজনীতি
  • প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান: গয়েশ্বর.

প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান: গয়েশ্বর

প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান: গয়েশ্বর


প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না বলেও মনে করেন তিনি।


শনিবার (৮ জুন) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনটি বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।


গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে আমাদের কর্মীরা বন্দী নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। ধরে আনতে পারলে বাণিজ্য। আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে এলে টাকা, খাবার দিতে এলে টাকা, আদালতে এনে রিমান্ড না নেওয়া জন্য টাকা। এরকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়। খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ।’


বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে বিচারের আগেই পুলিশ হাত-পা ভেঙে বিচার করছেন। থানায় ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। কোনো বিচার নেই।’


গয়েশ্বর বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা থাকে না। যেখানে সরকারই ভেজাল সেখানে প্রশাসন নির্ভেজাল থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন নেই সে দেশে জনগণ বিচার চাইবে কার কাছে। বিচারপতিই স্বাধীন না। সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়। একজন জোর গলায় বললেন এসকে সিনহাকে কীভাবে দেশ ত্যাগ করিয়েছিলাম। তারপরও সেই বিচারপতিরাই তাকে সালাম দিচ্ছেন।’


বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমেরিকা বা কোনো রাষ্ট্র আমাদের দেশের কারো বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজীর র‌্যাবের ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করল। এর তিন মাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেল। এটি কীভাবে সম্ভব হলো? কেন তদন্ত করলেন না! আপনারা (সরকার) কি বিষয়টি জানতেন না!’



এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে তাকে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে খুনিরা কেন তাকে খুন করল তা কেন প্রকাশ করছেন না?’


গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যাকে প্রেস সচিব করেছেন তিনি একজন রাজাকারের ছেলে। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। এসব প্রশ্নের জবাব কে দেবে। এরাতো নির্বাচিত সরকার নয়। তাই তারা জনগণের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নয়।’


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসূ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার, খালিদ হাসান জ্যাকী, শামসুজ্জামান সূরুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।









মন্তব্য