ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০১ ০১:১৭:২৫




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-০১ ০১:১৭:২৫




২০ দেশের মাথায় বিশাল অঙ্কের চীনা ঋণের বোঝা

kzqghvva

২০ দেশের মাথায় বিশাল অঙ্কের চীনা ঋণের বোঝা

kzqghvva


 

এশিয়া থেকে আফ্রিকা। গেল কয়েক বছর ধরে চীনা ঋণ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। পশ্চিমা অর্থনীতিবিদরা এ ঋণের সমালোচনা করে থাকেন। তারা এটিকে বলেন, ‘ঋণের ফাঁদ’। যদিও চীন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। চীনা ঋণ নেয়া শীর্ষ দেশগুলো কারা- এ নিয়ে এক ধরনের কৌতূহল আছে। এইড ডাটার ২০২৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এসব ঋণের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ ঋণগ্রহীতা দেশ আর্থিক সংকটে। চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়া শীর্ষ ২০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অনলাইন ভিজুয়ালক্যাপিটালিস্ট। ইয়াহু ফাইন্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে এসব দেশের তালিকায় আছে পাকিস্তান (২৬.৬  বিলিয়ন ডলার),  এ্যাঙ্গোলা (২১ বিলিয়ন ডলার), শ্রীলঙ্কা (৮.৯ বিলিয়ন ডলার), ইথিওপিয়া (৬.৮ বিলিয়ন ডলার), কেনিয়া (৬.৭ বিলিয়ন ডলার), বাংলাদেশ (৬.১ বিলিয়ন ডলার), জাম্বিয়া (৬.১ বিলিয়ন ডলার), লাওস (৫.৩ বিলিয়ন ডলার), মিশর (৫.২ বিলিয়ন ডলার), নাইজেরিয়া (৪.৩ বিলিয়ন ডলার), ইকুয়েডর (৪.১ বিলিয়ন ডলার), কম্বোডিয়া (৪.০ বিলিয়ন ডলার), আইভরি কোস্ট (৩.৯ বিলিয়ন ডলার), বেলারুশ (৩.৯  বিলিয়ন ডলার), ক্যামেরুন (৩.৮ বিলিয়ন ডলার), ব্রাজিল (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), দক্ষিণ আফ্রিকা (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), মঙ্গোলিয়া  (৩ বিলিয়ন ডলার) ও আর্জেন্টিনা (২.৯ বিলিয়ন ডলার)। 


   

এই ডাটা থেকে দেখা যাচ্ছে- পাকিস্তান এবং এ্যাঙ্গোলা  চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের  ঋণ নিয়েছে। উভয় দেশই বিভিন্ন অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চীন থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ঋণ নিয়েছে।


 একইসঙ্গে  উভয় দেশ তাদের ঋণের বোঝা মেটাতেও লড়াই করছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীন পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণের মেয়াদ বাড়িয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চের পরপরই এ্যাঙ্গোলা তার বৃহত্তম ঋণদাতা, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (CDB) এর সঙ্গে নিম্ন মাসিক ঋণ পরিশোধের জন্য আলোচনা চালিয়েছে।

চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও  বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তহবিল প্রদান করেছে। বিআরআই একটি বিশাল অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প যার লক্ষ্য চীন এবং এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, অদূর ভবিষ্যতে এই ঋণপ্রবাহ একটি সমস্যা হতে পারে। AidData-এর ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঋণগুলোর ৮০% দেশগুলোকে আর্থিক সংকটে ফেলতে পারে,  দেশগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। 

সূত্র : visualcapitalist









মন্তব্য