ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২৯ ০০:১১:১০




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২৯ ০০:১১:১০




  • প্রবাসী
  • নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত.

নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত


নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে কুইন্সে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে। ৯১১-এ কল পেয়ে সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিতে বাড়িটিতে গিয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানেই ঘটে এ অঘটন।


‘মানসিক সংকটে’ ভোগা ওই তরুণ একটি কাঁচি নিয়ে পুলিশের দিকে ছুটে এসেছিল। তখন আত্মরক্ষার জন্য তার দিকে গুলি ছুড়তে বাধ্য হন তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনওয়াই ডেইলি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।


স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওজোন পার্ক অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় ওই তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালান পুলিশ অফিসাররা।


এক সংবাদ সম্মেলনে এনওয়াইপিডির চিফ অব পেট্রোল জন চেল বলেছিলেন, ৯১১ নম্বরে কল পাওয়ার প্রায় দুই মিনিট পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে ছেলেটিকে বশে আনার চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে টাসার নামের একটি বৈদ্যুতিক বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন অফিসাররা।


পুলিশ প্রধান বলেন, তরুণটি ৯১১ নম্বরে কল করেছিল। তবে আইন প্রয়োগকারী সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণের মা কল করে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ছেলেকে মাদকাসক্ত বলে মনে হচ্ছে এবং সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে।’


চেল বলেছিলেন, ওই তরুণ একটি ‘মানসিক সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার আগ মুহূর্তে তার ও পুলিশের মধ্যে একটি ‘বেশ অস্থির, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।


তিনি বলেন, পুলিশ যখন ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তখনই তিনি একটি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে তাদের দিকে ছুটে যায়। অফিসাররা তখন টাসার ব্যবহার করেন। তবে তখন তার মা এসে অপ্রত্যাশিতভাবে পুলিশের কাজে বাগড়া দেন।


পরে চেল বলছিলেন, ‘একজন মা তো মা-ই। তিনি তার ছেলেকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসেন। এসময় ঘটনাক্রমে ওই তরুণের শরীর থেকে টাসারটি সরে যায় এবং মুহূর্তেই তিনি আবারও কাঁচিটি নিয়ে আমাদের অফিসারদের দিকে ছুটে আসে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক ব্যবহার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’


বডিক্যামের ফুটেজই অফিসারদের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে বলে জানান চেল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আহত তরুণকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।


ঘটনার পর চেল বলেছিলেন, ‘এটি ওই তরুণ, তার পরিবার এবং আমাদের পুলিশের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা ছিল। তারা এখানে ওই তরুণকে সহযোগিতা করতেই এসেছিল। তবে তারা কোনো বল প্রয়োগ করতে চায়নি।’


এ ঘটনার দু্ইদিন আগেই এক সন্দেহভাজনের হাতে এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছিল। ওইদিন কুইন্স বাসস্টপের সামনে পার্ক করা একটি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে সরানোর চেষ্টা করার সময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি অফিসার জোনাথন ডিলারকে গুলি করে হত্যা করে।









মন্তব্য