ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-১৬ ০০:৪৫:৫১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-১৬ ০০:৪৫:৫১




  • জাতীয়
  • ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে.

ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে

ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে


বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে তাদের জাহাজে তোলা হয়।


এদিন সকালে মিয়ানমার থেকে আসা ৩৩০ জনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উখিয়া, টেকনাফের বিভিন্ন স্কুল হতে ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়।


এ সময় আশপাশের এলাকায় বিজিবি ও র‌্যাবের সদস্যদের সতর্ক পাহারায় থাকতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয় কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক।


২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।


পর দিন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এ ছাড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন।


হস্তান্তর শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক কালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।


এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপির সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিকসহ সর্বমোট ৩৩০ জন।


মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অতিসম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তেও এসে পড়ে।


সীমান্তে বিজিবির টহল ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।


তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজিবি সীমান্তের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি যা–ই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমারের নাগরিককেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।


বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অ কিউ মোয়ে, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।









মন্তব্য