ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-১২ ০০:০৫:৫০
ডেইলি বাংলা টাইমস : সীতাকুণ্ড থানার কুমিরা এলাকায় তুলার গুদামের আগুন ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি এখনও। এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে পানি সংকট।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সবাইকে নিরাপদে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
শনিবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তুলার গুদামে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। এছাড়া সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনও আগুনের শিখায় লাল হয়ে আছে সীতাকুণ্ড ওই তুলার গুদামটি। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। দেখা দিয়েছে পানি সংকট। আশপাশের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণে চেষ্টা করা হচ্ছে। আর যে অংশের আগুন নিভেছে, সে অংশের তুলো পুড়ে ছাই হওয়ার পর মূলত আগুন নিভেছে।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
তিনি জানান, পুরো ঘটনাস্থল ঘুরে সবাইকে নিরাপদে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, যাতে করে কোনোভাবেই আগুন আশপাশে যেন না ছড়ায়। তুলার আগুন হওয়ায় আরও সতর্কতা বাড়াতে হবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এরইমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। তুলার গুদাম হওয়ায় ভেতরে আগুন নেভাতে সময় লাগছে। গুদামের চারপাশে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ফলে আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই। পানি সংকটের ফলে আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে। এখন কুমিরা, সীতাকুণ্ড ও আগ্রাবাদ স্টেশনের ৮টি ইউনিট কাজ করছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আশাকরি দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হবে। ’
তিনি বলেন, ‘তুলার গুদামের খুব কাছেই একটি কনটেইনার ডিপো। সেখানে থাকা ১৫০টি কনটেইনার সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফাইটার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এখনও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। তুলার গুদাম হওয়ায় এবং পানির সংকটে এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।’
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘গুদামটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, ওয়েল্ডিং করার সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে তুলার ওপর পড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে।’
গত শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। সেখানে সাতজন মারা যান। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হন।