ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-২৮ ১৭:৪৯:৪৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি ও ব্যালট ছাপার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, সহযোগী ভেন্ডরের তথ্য অনুযায়ী, নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ ব্যবহার করে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছিল। প্রিন্টিং, কাটিং ও প্রি-স্ক্যান প্রক্রিয়ার পর ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহযোগ্য করা হয়, বাকি ব্যালট প্রচলিত নিয়মে ধ্বংস করা হয়েছে। ভেন্ডর জানিয়েছে, কাটিং শেষে ব্যালটগুলো তাদের মূল অফিসে আনা হয় এবং প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্ধারিত পরিমাণে প্যাকেটে ভরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় চুক্তি অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে ভুল হয়েছে।
উপাচার্য ব্যাখ্যা করেন, ব্যালট ছাপানো বা স্থান কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করে না। ভোটের জন্য ব্যালট সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে একাধিক ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে ছাপানো ব্যালট নির্দিষ্ট মাপে কাটিং করা হয়, এরপর নিরাপত্তা কোড আরোপ এবং ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করা হয়। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষর যুক্ত হয়ে যাওয়ার পরই ব্যালট ভোটগ্রহণের জন্য উপযোগী হয়। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপাচার্য জানালেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোটের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন; প্রত্যেক ভোটারকে ছয়টি ব্যালট প্রদান করা হয়েছিল। ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। ব্যবহার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮টি ব্যালট।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটার স্বাক্ষরিত তালিকা দেখানোর বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার ফুটেজ দেখতে চান, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করলে মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে তা দেখা সম্ভব। একইভাবে, নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে কোনো ভোটারের স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে প্রার্থীরা প্রশাসন কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যালট প্রস্তুতির সব ধাপ সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে এবং পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো কারণ নেই। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং মূল ভেন্ডরের সঙ্গে সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।