ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-১৬ ১৯:৩৮:৫৫
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ ৩০,৮৮৬ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৩০ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এর ফলে, দেশের রিজার্ভে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পূর্ববর্তী ১৪ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ এক দিন আগে, বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০,৫৯১ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যাচ্ছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ২৫,৯৮৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ দেশের নিট রিজার্ভ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়, যা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করে নির্ধারণ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য এক ইতিবাচক সংকেত। রিজার্ভের এই বৃদ্ধি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশীয় মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাকে শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বব্যাপী রিজার্ভ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের রিজার্ভের এই বৃদ্ধি অনেকটা প্রশংসিত হয়েছে, বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভের এই বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশের রিজার্ভের এই ধারা বজায় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, রিজার্ভের এই বৃদ্ধি শুধুমাত্র অস্থায়ী নয়, বরং তা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে, এমনটাও তারা আশা করছেন।