ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-১৪ ১৯:০৪:৫১
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও ধাক্কা দিয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আসামের উদালগুরি জেলার ঢেকিয়াজুলি থেকে ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার পূর্বে। ভূগর্ভ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এই কম্পনে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান ও চীনের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকার অভিজ্ঞরা জানান, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই কম্পনে বাসা ও অফিসে বসে থাকা মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
সিলেটে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। সিলেট থেকে ১৩১ কিলোমিটার দূরে ভূটানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে উৎপত্তি হওয়া এই কম্পনে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন, কিন্তু সরাসরি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানিয়েছেন, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এর আগে গত ২২ অগাস্ট মিয়ানমারের ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছিল।
জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, রোববার উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫ দশমিক ৭১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কম্পনের সময় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানওয়ালও সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে মঙ্গল কামনা করেছেন।
ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে। যদিও এখনও কোনো হতাহতের বা বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান ও উৎপত্তিস্থলের গভীরতার কারণে এই কম্পন বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমিয়েছে।