ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-৩০ ১৭:১৯:৫১




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-৩০ ১৭:১৯:৫১




  • জাতীয়
  • বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি তলানিতে.

বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি তলানিতে

বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি তলানিতে


বাবুল খন্দকার: বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবাহন ট্রাক, কার্গো ভ্যান ও কাভার্ড ভ্যান বিক্রি অনেকাংশে কমে এসেছে। বিআরটিএ’র তথ্য মতে চলতি বছরে বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। যা দেশীয় অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। 

বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবাহন গুলোর  শোরুমের পরিচালক এবং রফতানিকারকদের মতে,টোল খরচের সাথে সাথে অন্যান খরচও বেড়েছে, তাছাড়া জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। সেই সাথে তারা আরো যুক্ত করে বলেন, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে ট্রাক আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারছে না। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায়  যানবাহন আমদানিতে খরচ অনেক বেড়েছে। যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবহন গুলো ক্রয় করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে ক্রেতাদের কাছে। ফলে বাণিজ্যিক যানবাহন বিক্রি বর্তমানে তলানিতে নেমে এসেছে।

বিআরটিএ’র তথ্যমতে. ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩০০৮টি ট্রাক রেজিষ্টিশন করা হয়েছিলো। ২০২৩ সালের একই সময়ে তা নেমে এসেছে ১২০২টিতে।  চলতি বছরের ছয় মাসে ট্রাকের রেজিষ্ট্রেশন কমেছে ৬০ শতাংশ।  

২০১৮ সালে কার্গো ভেন রেজিষ্ট্রিশন করা হয়েছিল ১২৮০, ২০১৯ সালে ৪ টি, ২০২০ সালে ২টি, ২০২১ সালে ৩ টি,২০২২ সালে ৩টি কার্গো ভ্যানের রেজিষ্ট্রিশন করা হয়েছিলে। কিন্তু বর্তমান চলতি বছরে একটি কার্গো ভ্যানের রেজিষ্ট্রিশন করা হয়নি। 

২০২২ সালে যেখানে প্রতিমাসে ৩৬৮টি ট্রাক রেজিষ্ট্রিশন করা হতো সেখানে চলতি বছরে ট্রাক রেজিষ্ট্রিশন কমে মাসে ১৪৮টি। বাণিজ্যিক যানবহন মার্কেট গত ১১ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১০ সালে বাণিজ্যিক যানবাহনের বাজার ছিলো ২০০০ কোটি টাকার সেখানে ২০২১ সালে তা বেড়ে ৪৪০০ কোটি টাকার বাজার হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিবছর প্রায় ১৫ শতাংশ করে বাণিজ্যিক যানবাহনের বাজার বৃদ্ধি পেছেয়ে। এর সাথে সংশ্লিষ্টদের মতে সড়ক ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়নের ফলে এই সেক্টেরের বাণিজ্য বৃদ্ধি পয়েছে । 

বাংলাদেশ ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ৫০ শতাংশ ট্রাক বর্তমানে বসে আছে। চাহিদা কম থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বর্তমান অর্থনীতিতে অচল অবস্থা এবং এলসি খোলার ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে ট্রাক  বিক্রি কমে গেছে। 

রানার মটরস লিমিটেডের কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ে মাস গুলোতে গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি ট্রাক বিক্রি হয়েছে। যেখানে গতবছর এই সময়ের মধ্যে প্রতিমাসে ১৫০-১৬০ টি ট্রাক বিক্রি হয়েছিলো। এই কম্পানির বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি চলছে তাতে করে কর্পোরেট বিক্রেতারা ট্রাক ক্রয়ে আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আমরা এখন কর্পোরেট ক্রেতার ওপরও নির্ভর করতে পারছি না। তাছাড়া অনেক কর্পোরেট ক্রিতারা তাদের মাসিক কিস্তিও পরিশোধ করতে সমস্যায় পরছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে করে ভবিষ্যতে এই বাজার কী হবে তা অনুমান করা কঠিণ হবে। 

হুন্ডাই মোটর কোম্পানি এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এলসি খোলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার জটিলতায় বর্তমানে তাদের ট্রাক বিক্রি কমেছে ৪০ শতাংশ।









মন্তব্য